উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মধ্যে বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ ও সন্দেশখালিতে সবথেকে বেশি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। বসিরহাট মহকুমা এলাকার বিভিন্ন ব্লকে মোট ১১৪টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের নদী লাগোয়া এলাকার ৩৪ হাজার বাসিন্দা ও সন্দেশখালি ব্লকের সাড়ে তিন হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের দুটি টিম বসিরহাটে ও সন্দেশখালির ধামাখালিতে রয়েছে। এনডিআরএফের একটি টিম হাসনাবাদে রয়েছে। এছাড়া মহকুমা শাসকের সিভিল ডিফেন্সের টিম উদ্ধারকার্যে রয়েছে। প্রত্যেক টিমের কাছে একাধিক বোট, লাইফ জ্যাকেট রাখা হয়েছে। ফেরি চলাচল সকাল থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হলেও দুপুরের পর বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে হিঙ্গলগঞ্জের লেবুখালি ফেরিঘাট ও সন্দেশখালির ধামাখালি ফেরিঘাটে বহু মানুষ আটকে গিয়েছেন। তাঁদের জন্য অস্থায়ী শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি ব্লক ও পঞ্চায়েত অফিসে পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী মজুত করা হয়েছে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
এদিন বিকেল থেকে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সামসেরনগর, হেমনগর, পারঘুমটে, সর্দারপাড়ার ঘাট, যোগেশগঞ্জ, সাহেবখালি, সান্ডেলার বিল এলাকায় বিকেল থেকে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রাত যত বেড়েছে বৃষ্টির পরিমাণ ততই বেড়েছে। হাসনাবাদের ভবানীপুর, ঘুনি, চকপাল্লি, বাঁশতলি এলাকাতেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বাড়তে থাকে। বাঁশতলিতে বিদ্যাধরী নদীর বাঁধের ১০০ মিটার অংশ বসে গিয়েছে। যদিও কোনও নদীবাঁধ টপকে এদিন রাত পর্যন্ত জল ঢোকার খবর পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, পর্যটন দপ্তরের বরাদ্দকৃত ৭৬ লক্ষ টাকায় তৈরি টাকির ইছামতী নদীর উপর ভাসমান রেস্তরাঁ জলে তলিয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে একটু একটু করে নদীগর্ভে ডুবতে শুরু করে ওই রেস্তরাঁ। শুক্রবার বিকেলে রেস্তরাঁর শতকরা ৯০ভাগ জলের তলায় চলে যায়। পুরসভার তরফে মোটা দড়ি দিয়ে কোনওমতে সেটাকে বেঁধে রাখা হয়েছে। জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তী বলেন, বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য সমস্ত রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সুন্দরবনের নদী লাগোয়া এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী সমস্ত জায়গাতে মজুত রয়েছে।