কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
শনিবার বিকেলে তৃণমূল-বিজেপির গণ্ডগোলের ঘটনায় রক্তাক্ত হয়েছে সন্দেশখালির ন্যাজাট থানার ভাঙ্গিপাড়া গ্রাম। এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা তিনজন। তার মধ্যে দু’জন বিজেপি এবং একজন তৃণমূল কর্মী। দুই কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদেই বসিরহাট মহকুমায় ১২ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সোমবার সকালে বসিরহাট শহরের প্রায় সমস্ত দোকানপাট বন্ধ ছিল। একেবারে শুনশান চেহারা। বসিরহাট শহর থেকে হাসনাবাদ, সন্দেশখালি-১, সন্দেশখালি-২, হাসনাবাদ, মিনাখাঁ মিলিয়ে প্রায় সমস্ত জায়গাতেই বন্ধের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। প্রায় সমস্ত বাস, অটো, টোটোও বন্ধ ছিল। এদিন সকালে ভ্যাবলা স্টেশনে প্রায় দু’ঘণ্টা রেললাইন অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁরা রেললাইনের উপর বসে পড়েন। টাকির চৌরঙ্গি মোড়ে রাস্তার উপর গাছের গুঁড়ি, ভাঙা বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে বিজেপি কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করেন। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে অবরোধ শুরু হয়। প্রায় বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অবরোধ চলে। রাস্তার দু’ধারে প্রচুর গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। পুলিসের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে।
হিঙ্গলগঞ্জের কালীবাড়ি মোড়েও রাস্তার চেয়ার-টেবিল পেতে বিজেপি কর্মীরা অবরোধ করেন। তৃণমূলের লোকজন সরে যেতে বললে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। সন্দেশখালির কানমারি, পোলপাড়াতেও অবরোধ হয়। চৈতল পল্লিমঙ্গল হাইস্কুলের সামনে বসিরহাট-মালঞ্চ মূল রাস্তাতেও দীর্ঘক্ষণ অবরোধে শামিল হন বিজেপি কর্মীরা। মিনাখাঁ বাজারের নেরুলি এলাকাতেও অবরোধ হয়। হাসনাবাদের ভেবিয়া এলাকায় এদিন একটি ব্যাঙ্ক খোলা ছিল। সেখানে বিজেপি কর্মীরা যান। নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলে তাঁকে প্রথমে মারধর করা হয়। তারপর ব্যাঙ্কে সহকারী ম্যানেজারকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাময়িক উত্তেজনাও ছড়ায়।
এদিকে, ভাঙ্গিপাড়া গ্রামের ঘটনায় এখনও থমথমে গোটা এলাকা। পুরো গ্রাম নিস্তব্ধ হয়ে রয়েছে। যেন পিন পড়লেও টের পাওয়া যায়। দু’টি খুনের মামলা এবং একটি নিখোঁজের মামলা হলেও সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তারও হয়নি। এলাকার মানুষ প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছেন। এখনও এলাকায় ১৪৪ ধারা রয়েছে। এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। এদিকে, এদিন সকালে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের ছ’জনের একটি প্রতিনিধিদল ভাঙ্গিপাড়া গ্রামে যায়। তাঁরা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন এবং ঘটনাস্থলের ভিডিওগ্রাফিও করে নিয়ে যান।