কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
শুক্রবার রাতে ইসাব আলি নামে এক জাল নোট পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৪ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকার জাল নোট। জানা যায়, রাজমিস্ত্রির কাজের আড়ালে এই কারবার ফেঁদে বসেছিল সে। দক্ষিণ ভারতে জাল নোট ছড়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে। ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অফিসাররা জানতে পারেন, তার অধীনে একাধিক যুবক রয়েছে। যারা মূলত কেরিয়ার। এরা সকলেই মালদহের বাসিন্দা। কলকাতাকে ট্রানজিট করেই বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে জাল নোট। এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জাল নোট পৌঁছে দেওয়ার জন্য আলাদা উইং খোলা হয়েছে মালদহে। কেরিয়াররা কলকাতায় এসে জাল নোট জেলার কারবারিদের হাতে তুলে দিচ্ছে।
এই সূত্রেই সালওয়ারের নাম হাতে আসে অফিসারদের। যে কলকাতা উইংয়ের সঙ্গে জড়িত। তার মাধ্যম জেলার বিভিন্ন কারবারির হাতে জাল নোট যাচ্ছে বলে জানা যায়। এরপরই তার উপর নজরদারি শুরু হয়। এসটিএফ জানতে পারে, সোমবার সে কলকাতায় আসবে। ধর্মতলায় এক ব্যক্তির হাতে জাল নোট তুলে দেবে। সেইমতো এসটিএফের একটি টিম ওই এলাকায় পৌঁছে যায়। সেখানে সালওয়ার আসামাত্র তাকে চ্যালেঞ্জ করেন অফিসাররা। অভিযুক্তের ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে মেলে দু’লক্ষ টাকার জাল নোট। যার মধ্যে দু’ হাজারের নোট রয়েছে ৭৫টি এবং ৫০০ টাকার নোট রয়েছে ১০০টি।
ধৃতকে জেরা করে অফিসাররা জানতে পেরেছেন, ইসাবের নির্দেশ মতো সে কাজ করছিল। এর আগে সে বহুবার জাল নোট নিয়ে কলকাতায় এসেছে। বিভিন্ন ব্যক্তির হাতে তা তুলে দিয়েছে। তবে যারা এই নোট নিয়ে গিয়েছে, তারা সবাই কেরিয়ার হিসেবে কাজ করছে বলে জানিয়েছে সে। তাদের চিহ্নিত করে জেলায় জাল নোট কারবারিদের মাথাকে চিহ্নিত করতে চাইছে এসটিএফ। সালওয়ার জেরায় জানিয়েছে, মালদহে একাধিক দল তৈরি করা হয়েছে জাল নোট পাচারের জন্য। একদল যাচ্ছে উত্তর ভারতে, অন্যদল দক্ষিণ ভারতে জাল নোট নিয়ে যাচ্ছে। দেশের সমস্ত রাজ্যে জাল নোট এখান থেকেই যাচ্ছে বলে এসটিএফ জানতে পেরেছে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত মূল মাথাদের ধরার জন্য খোঁজখবর শুরু করেছেন অফিসাররা।