গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অরিন্দম গুঁইন বলেন, যে কোনও মৃত্যুর ঘটনাই আমাদের কাছে দুঃখের। মৃতের পরিবারের পাশে পুরসভা সবসময়ই থাকার চেষ্টা করবে। অরিন্দমবাবু বলেন, পণ্যবাহী যানবাহন দিনের বেলায় জি টি রোড দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করার জন্য আমরাও পুলিসের কাছে আবেদন জানিয়েছি।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের এন সি ব্যানার্জি রোডের বাসিন্দা পেশায় গিটার বাদক সুদীপ মুখোপাধ্যায় স্কুটিতে চেপে শেওড়াফুলির দিকে যাচ্ছিলেন। গলি থেকে বেরিয়ে জি টি রোডে ওঠার পরেই বৈদ্যবাটিমুখী একটি ট্রাক্টর তাঁকে ধাক্কা মারলে গাড়ি থেকে ছিটকে রাস্তার উপর পড়েন। পথচারী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সঙ্গে সঙ্গে সুদীপবাবুকে উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠান। পাশাপাশি তাঁর পরিবারকেও ফোন করে দুর্ঘটনার কথা জানান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, রাজারবাগান কলোনি মোড়ের কাছে পুরসভার ভ্যাটের গাড়ির লম্বা লাইন ছিল। তাই খুব কম গতিতেই সুদীপবাবু স্কুটি নিয়ে জি টি রোডে উঠে ডানদিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ওই সময়ে উলটো দিক থেকে আসা পুরসভার একটি ট্রাক্টরের সঙ্গে তাঁর ধাক্কা লেগে রাস্তার উপর ছিটকে পড়েন। মাথায় হেলমেট থাকলেও পেছনের দিকটি ফেটে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় আমরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। সঞ্জয়বাবুর অভিযোগ, দিল্লি রোডের উপর ব্রিজ সংস্কার না হওয়ায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রতি সপ্তাহেই কেউ না কেউ মারা যাচ্ছে। পুরসভা বা পুলিস সবাইকে জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এই অবস্থা চলতে থাকলে শহরের মানুষ বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।
জয়দেব দাস নামে শহরের আরেক বাসিন্দা বলেন, বৈদ্যবাটি চৌমাথা থেকে শুরু করে নগাঁ মোড় পর্যন্ত জি টি রোডের ফুটপাত কোথাও ব্যবসায়ীরা দখল করে নিয়েছে। আবার কোথাও পাথর, বালি, ইট রেখে ব্যবসা চলছে। তার উপর সমস্ত ভারী যানবাহন জিটি রোড দিয়ে যাওয়ায় সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। গত সপ্তাহেই লরির ধাক্কায় খড়পাড়া মোড়ে শ্যামল দাস নামে এক সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। তাই আমরা চাই অন্তত দিনের বেলায় জি টি রোড দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হোক।