যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
স্থানীয়রা জানান, এদিন সকালে গ্রামবাসীরা ঘুম থেকে উঠে রাস্তায় বেরতেই দেখেন চাল, ডাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। তাঁরা সেগুলি লক্ষ্য করে হাঁটতে শুরু করলে তা স্কুলের সামনে এসে থামে। সেখানে স্কুলের গেটের তালা ভাঙা অবস্থায় দেখা যায়। তাঁরা বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে ফোন করে জানান। পরে শিক্ষক শিক্ষিকারা এসে দেখেন অফিস ও স্টোর রুমের দরজার তালা ভাঙা। ভিতরে কাগজপত্র লণ্ডভণ্ড। আলামরির লক ভাঙার চেষ্টা করেও সফল হয়নি। খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামবাসীরা সেখানে ভিড় জমান। পরে তাঁরা দেখেন একইভাবে পাশে থাকা অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের তালা ভেঙে চুরি গিয়েছে বেশ কিছু খাদ্য সামগ্রী। স্কুলের প্রধানশিক্ষক অরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, স্টোর রুমে থাকা বেশ কিছু বাসনপত্র, ২৫ কেজি চাল, ১৫ কেজি ডাল, পাঁচ লিটার সরষের তেল, কয়েকটি সয়াবিনের প্যাকেট সহ মশলা চুরি গিয়েছে। তবে অফিস রুম লণ্ডভণ্ড করলেও আলমারির লক চোরেরা ভাঙতে পারেনি। সম্পূর্ণ বিষয়টি নজরে আসতেই স্কুল কর্তৃপক্ষ থানায় ফোন করে চুরির ঘটনাটি জানানা। পরে পুলিস এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও চুরির ঘটনা ঘটেছে স্কুলে। তবে সেবার শিলনোড়া নিয়ে চম্পট দিয়েছিল চোরেরা।
চুরির ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা বলেন, গ্রামে সিভিক ভলান্টিয়ার ও ভিলেজ পুলিস নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকার পরও কিভাবে চুরির ঘটনা ঘটতে পারে। এই চুরির ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল গ্রামের নিরাপত্তা কোন অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা অমিত রায় বলেন, দুঃসাহসিক চুরির ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তার তদন্ত করে দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।