যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
বুধবার সন্ধ্যায় পুলিসের অনুমতি ছাড়াই বীরহাটার কাছে দিলীপবাবু পদযাত্রা শুরু করেন। পুলিস তাতে বাধা দিলে তিনি রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিসের ধস্তাধস্তি হয়।
শেষ পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরকে কর্মসূচি বাতিল করতে হয়। তারপর থেকেই দিলীপবাবু ফুঁসতে থাকেন। তিনি বর্ধমান থানার আইসির উদ্দেশে আরও বলেন, ভাবছে ভদ্রতা করছি বলে যা খুশি তাই করবে। ওকে এবার টার্গেট করব। পুলিস ইচ্ছে করে আমাদের আটকাচ্ছে। বালি মাফিয়াদের ওরা চমকাতে পারছে না। এবার থেকে প্রয়োজনে জেলাশাসক-পুলিস সুপারের অফিস ঘেরাও করব। জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, ভিডিও ক্লিপটি খতিয়ে দেখা হবে। বুধবার সন্ধ্যায় বীরহাটার কর্মসূচির কোনও অনুমতি ছিল না। সেই কারণেই বাধা দেওয়া হয়েছিল। আইন সবার জন্য সমান।
ভোটপ্রচারে নেমে এর আগেও দিলীপবাবু একাধিকবার বেলাগাম মন্তব্য করেছেন। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করেছেন। দল থেকে তাঁকে শোকজ করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। তারপরও একাধিকবার কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করেছেন। কয়েকদিন আগে তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে গো ব্যাক স্লোগান দিলে তিনি বলেন, বাবু চলেন বাজার কুত্তা ভোকে হাজার। তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশে একাধিকবার হুমকি দিয়েছেন। দলের একাংশের মতে, তাঁর এধরনের মন্তব্য ভোটারদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে। তাঁকে দল থেকে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তিনি বেপরোয়া। ভোটে এধরনের মন্তব্যের প্রভাব পড়তে পারে বলেই দলের অনেকে মনে করছেন। পুলিসকে এভাবে আক্রমণ করায় প্রশাসনের মধ্যেও শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
এদিন কালনায় ভার্চুয়ালি বিজেপিকে কড়া ভাষা আক্রমণ করেন তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিজেপির নেতারা উন্মাদ হয়ে গিয়েছে, ঘেউ ঘেউ করছে। ওদের থেকে দূরে থাকুন। বাংলার মেয়েদের অসম্মান করছে। মহিলাদের কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করছে। এই বাংলা বিরোধীদের মানুষ ইভিএমে জবাব দেবে।