গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
রানাঘাট থানার নোকারি পূর্বপাড়ার বাসিন্দা ওই গৃহবধূ। গৃহবধুর স্বামী কৃষিজীবী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দোল পূর্ণিমার দিন পাড়ায় মদ্যপান করাকে কেন্দ্র করে আক্রান্ত গৃহবধূর দেওরের সঙ্গে অভিযুক্ত প্রদীপ বিশ্বাসের বচসা হয়। ঝামেলা হাতাহাতির পর্যায়ে গেলে স্থানীয় বাসিন্দাদের হস্তক্ষেপে সাময়িকভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে এলাকায় সালিশি সভা বসিয়ে বিষয়টি মিটমাট করে দেওয়া হয়। অভিযোগ, এরপর গত মঙ্গলবার সন্ধে নাগাদ গৃহবূরর বাড়িতে লাঠি, বাঁশ, লোহার রডসহ দলবল নিয়ে চড়াও হয় অভিযুক্ত প্রদীপ ও তার জ্যাঠা জয়দেব বিশ্বাস। কিন্তু গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা বাড়ি থেকে বের না হওয়ায় বাইরে থেকেই ফিরে যায় দুষ্কৃতী দলটি। ‘পরে দেখে নেওয়া হবে’ বলে হুমকি দেয় তারা। এরপর বুধবার অন্যান্য দিনের মতোই সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ পাঁচ বছরের ছেলেকে স্থানীয় বেসরকারি প্রাইমারি স্কুলে দিয়ে সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন গৃহবধূ। গ্রামের রাস্তায় সে সময় খুব একটা ভিড় ছিল না। তাঁর অভিযোগ, পূর্ণনগর হাই স্কুলের সামনের রাস্তায় হঠাৎ পথ আটকায় অজ্ঞাতপরিচয় এক বাইক আরোহী। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই দুষ্কৃতী পকেট থেকে একটি কৌটো বের করে সেটির ভেতরে থাকা অ্যাসিড জাতীয় তরল পদার্থ গৃহবধূর মুখ লক্ষ্য করে ছিটিয়ে দেয়। তিনি মুখ সরিয়ে নিলেও তরলের খানিকটা অংশ তাঁর চোখে মুখে দিয়ে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে মুখে ও গলায় শুরু হয় তীব্র জ্বালা। যন্ত্রণায় তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়তেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় ওই দুষ্কৃতী। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা।