গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
২০১০ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর হয়ে নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত ন্যারোগেজ রেল লাইনটিকে ব্রডগেজ করার প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন। সেইমতো শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইনের কাজ হয়। কিন্তু জমিজটের কারণে কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত লাইন পাতার কাজ আমঘাটা পর্যন্ত হয়েই বন্ধ হয়ে যায়। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে আমঘাটা পর্যন্তই রেল পরিষেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সেইমতো জোর কদমে কাজ শুরু করেছে। আমঘাটা লাইনের আশেপাশের বহু বাড়িঘর ভেঙে ফেলা হয়। গাছপালা কাটা হয়। নতুন রেল ট্র্যাক বসিয়ে ট্রেন চালু করতে তৎপর হয়েছে রেল। পাশাপাশি রেললাইনের দু’ধারে লোহার ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। আর এতেই বিপাকে পড়েছেন রেললাইনের ওপারের শরৎপল্লির বাসিন্দারা। কারণ ওই এলাকায় প্রায় শতাধিক পরিবারের বসবাস রয়েছে। যাঁরা এতদিন অনায়াসেই রেললাইন টপকে শহরে ঢুকতেন। কিন্তু রেললাইনের দুপাশে লোহার ব্যারিকেড বসানোর ফলে শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
বুধবার এই আমঘাটা লাইনে রেলওয়ে ট্র্যাক পরীক্ষার চূড়ান্ত সিএসআরের কাজ ছিল। সেইমতো সকাল থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা রেল লাইনের দু’ধারে জড়ো হয়। দুপুর ২টো নাগাদ রেলের সিএসআরের কাজ শুরু হয়। ট্র্যাক পরীক্ষার বিশেষ ট্রেন আসতেই স্থানীয়রা বাধা দেন। আমঘাটা পরবর্তী জায়গায় এখনও জমি অধিগ্রহণের কাজ সম্পূর্ণ করতে পারিনি রেল মন্ত্রক। তাই নবদ্বীপ ধাম পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের পরিষেবা আপাতত অথৈ জলে। এই পরিস্থিতিতে আমঘাটা ট্রেন চালানোর পিছনে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছেন স্থানীয়রা। বিক্ষোভকারী বাসিন্দা গৌরী সরকার বলেন, রেল লাইনের ধারে একটি হাই ড্রেন ও রাস্তা রয়েছে। কিন্তু সেটি কিছু দূরে গিয়েই শেষ হয়ে গিয়েছে। তারপর আর রাস্তা নেই। এখন এই রেললাইনের দু’পাশে লোহার ব্যারিকেড বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে আমাদের খুব সমস্যা হবে। কারণ আমাদের যেকোনও কাজের জন্য রেল লাইনের ওপারে যেতে হয়। কিন্তু এই ব্যারিকেড দেওয়ার ফলে আমাদের চারগেট, পালাপাড়া দিয়ে বেলেডাঙা হয়ে বাড়ি আসতে হবে। যা অনেক সময় সাপেক্ষ। এর প্রতিবাদেই আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছি।