গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জিআরপি জানিয়েছে, ধৃতের নাম অরুণ সিং। বাড়ি শান্তিনিকেতনের গুরুপল্লী হলেও আহমদপুর ছোট লাইন পাড়ায় সে থাকে। চলন্ত ট্রেনে মোবাইল চুরি চক্রে সিদ্ধহস্ত বছর ছাব্বিশের এই যুবক। জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত আড়াইটে নাগাদ ডাউন সরাইঘাট এক্সপ্রেস সাঁইথিয়া স্টেশন ঢুকছিল। স্টেশনে থামার জন্য গতি কমে আসতেই এক যুবক ট্রেন থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। সন্দেহ হওয়ায় প্লাটফর্মে ডিউটিরত জিআরপির কর্মীরা তাঁকে থামতে বলে। সে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। যদিও জিআরপির কর্মীরা পিছু ধাওয়া করে তাকে ধরে ফেলে। তার সঙ্গে থাকা ব্যাগে তল্লাশি চালাতেই পর্দা ফাঁস হয়। ব্যাগে সাজানো রয়েছে ২৫ টি দামি মোবাইল ফোন। এত মোবাইল কার জিজ্ঞাসা করেই সদুত্তর দিতে না পারায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। উল্লেখ্য, চলন্ত ট্রেনে মোবাইল ও ল্যাপটপ চুরির ঘটনা বাড়ছে। কখনও যাত্রী সেজে ট্রেনে উঠে চার্জে দেওয়া ফোন খুলে নিচ্ছেন দুষ্কৃতীরা। কখনও আবার পকেট থেকে ফোন চুরি যাচ্ছে যাত্রীদের। আবার কখনও ট্রেনে ওঠার সময় পকেট থেকে মোবাইল তুলে নিচ্ছে। দিন দিন এই ধরনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাত আড়াইটে নাগাদ চলন্ত ট্রেনে মোবাইল চুরি চক্রের এই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে সাঁইথিয়া জিআরপি। যা তাঁদের বড়সড় সাফল্য হিসাবেই দেখছেন। জিআরপির দাবি, রাতের দিকে বিভিন্ন দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রী সেজে উঠে সে মোবাইল চুরি করত। পরে সেই মোবাইলগুলি বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করত।
সাঁইথিয়া জিআরপি ওসি অপু দাস বলেন, উদ্ধার হওয়া মোবাইলগুলি সার্চিংয়ে পাঠানো হয়েছে। পরে ফোনগুলি প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ধৃতকে জেরা করে ফোনগুলি কোথায় বিক্রি করা হত ও গ্যাংয়ের বাকি সদস্যদের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করা হবে।