গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
একসময় জেলার কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল একের পর এক গ্রামীণ সমবায় সমিতি। ভেঙে পড়েছিল সমবায় ব্যবস্থা। সেখান থেকে সমবায় আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে দাবি করেছেন শাসক দলের নেতারা।
বীরভূম রেঞ্জের সমবায় সমিতি সমূহের সহনিয়ামক কৃষ্ণকান্ত সরকার বলেন, জেলার প্রতিটি সমবায় সমিতিতে আর্থিক লেনদেন চালু করে চাঙ্গা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই ৭৩টি সমবায় সমিতিতে গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র চালু করে দেওয়া হবে। আমরা বিভিন্ন নন ব্যাঙ্কিং পঞ্চায়েতে সমবায় সমিতি খুলে আর্থিক লেনদেন ও ঋণ দেওয়া চালু করছি। মহিলাদের নিয়েও সমবায় সমিতি গড়ে তোলা হচ্ছে।
বীরভূম জেলার প্রত্যন্ত গ্রামে সমবায় ব্যবস্থা নতুন করে সেজে উঠছে। রাজ্য সরকার, নাবার্ডের অর্থ সাহায্যের পর জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক আরবিআইয়ের ছাড়পত্র পেয়েছে। এরপর জেলার সমবায়গুলি নতুন করে অক্সিজেন পেতে শুরু করেছে। এবার জেলার প্রতিটি সমবায়ে আর্থিক লেনদেন যেমন, লোন দেওয়া, টাকা জমা করা প্রভৃতির ব্যবস্থা করে গ্রামীণ অর্থনীতিকে নতুন দিশা দেখাতে চাইছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা। জেলায় বর্তমানে ৩২৩টি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি রয়েছে। তার মধ্যে আগে ১২৬টি সমবায়ে টাকা জমা ও তোলার ব্যবস্থা ছিল। সেই সংখ্যাই এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪১টিতে। জেলার প্রতিটি সমবায়ে এই সুবিধা চালু করতে চাইছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
তবে টাকা লেনদেনের প্রাচীন পদ্ধতিতে সীমাবদ্ধ থাকতে চাইছে না সমবায় দপ্তর। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সমবায়গুলিতে গড়ে তোলা হচ্ছে গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র। প্রাথমিকভাবে ৭৩টি সমবায়ে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই তা চালু করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নতুন করে আরও ৪৪টি সমবায়ে এই পদ্ধতি চালু করার প্রস্তাব গিয়েছে। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে মান উন্নয়নে এগিয়ে এসেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
সমবায় দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ১৭০টি কৃষি সমবায়ের প্রায় ৫০ হাজার কিষাণ ক্রেডিট কার্ডকে রুপে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়া চলছে। ওই সমবায়গুলিতে মাইক্রো এটিএম বসানোর ব্যবস্থাও হচ্ছে। এই কারণে কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে সংশ্লিষ্ট সমবায়গুলির বেসিক সেভিংস ব্যাঙ্ক ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট সমবায়গুলিতে রাখা এটিএমের মাধ্যমে কার্ড দিয়ে সহজেই টাকা তোলা ও জমা করা যাবে। তবে শুধু পদ্ধতিগত আধুনিকীকরণ নয়, যেখানে ব্যাঙ্ক নেই সেখানে গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় সমবায় খুলে লোন ও বিমার টাকা দেওয়ার কাজ করে অভাব পূরণের চেষ্টা হচ্ছে। মঙ্গলবার রামপুরহাট-১ ব্লকের মাসড়ায় এমনই একটি সমবায়ে লোন ফেসিলিট সেন্টার চালু করা হয়েছে। ইলামবাজারেও বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জেলার মহিলাদের স্বনির্ভর করারও কৌশল নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে মহিলা সদস্যদের নিয়ে জেলায় তিনটি প্রাণিসম্পদ বিকাশ সমবায় সমিতি গঠন করা হয়েছে।