গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
যদিও বুধবার যে বিশ্ব বেতার দিবস অনেকেই তা জানেন না। রেডিও মানেই মহান দেশনায়কের ঘোষণা, আমি সুভাষ বলছি। বা বহু প্রতীক্ষিত সেই ঘোষণা, ভারতবর্ষ আজ স্বাধীনতা লাভ করল। তাছাড়া, জাতির জনকের বেতার ভাষণ, দেশে আপতকালীন ঘোষণা, প্রিয়দর্শিনীর মৃত্যু সংবাদ! শুধু কী তাই? নানা দেশসহ ভারতীয় কৃষ্টি-কালচার, তথ্য, সংবাদ, গান, বিনোদন, দেশের জনগণের স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ, কৃষির খবর, আবহাওয়া এবং আরও কত কী! এমনই এক গণ প্রচারমাধ্যম বিশ্ব বেতার দিবস পালিত হয় বুধবার। অথচ এই ধ্রুপদী মাধ্যমটি বর্তমানে শুধু স্মৃতি বহন করে।
একসময়ের দেশের গৌরব আকাশবাণী তথা অল ইন্ডিয়া রেডিওর অধিকাংশ আঞ্চলিক বেতার কেন্দ্রগুলি সাধারণ রেডিও সেটে আর প্রায় শোনা যায় না। যেমন, আকাশবাণী কলকাতার গীতাঞ্জলি (পূর্ব নাম কলকাতা 'ক') প্রচার তরঙ্গটি মাঝেমধ্যে শোনা গেলেও, সঞ্চিতা (পূর্বনাম 'খ') প্রচার তরঙ্গটি আর শোনাই যায় না। তবে নতুন বেতারকেন্দ্র আকাশবাণী 'মৈত্রী'-তে দুই বাংলার মানুষ মনের কথা বলতে পেরে আহ্লাদিত। তবে, অনলাইন বা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সম্প্রচারের মান ভালো। কিন্তু, গ্রামবাংলায় রেডিও আজ শুধু স্মৃতি রোমন্থনের একটি যন্ত্র মাত্র!
যদিও প্রত্যেক মাসের শেষে রেডিওতে মন কি বাত-এর বেতার ভাষণ দিতে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রেডিও শ্রোতা এবং বহুবার শ্রেষ্ঠ পত্রদাতা বা শ্রোতা নির্বাচিত হয়েছেন অরঙ্গাবাদ ডিএন কলেজের অধ্যাপক সাধন দাস। তিনি আজও নিয়মিত রেডিও শোনেন। তিনি বলেন, আমি ছোটবেলা থেকে রেডিও শুনে বড় হয়েছি। রেডিওর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সঙ্গে আমার জীবন জড়িয়ে আছে। এই প্রজন্ম এর গুরুত্ব বুঝল না, এটাই দুঃখের। জঙ্গিপুর মহাবীরতলার অবসরপ্রাপ্ত পুরকর্মী রঘু সিং জানালেন, তিনি আজও নিয়ম করেই রেডিও শোনেন। রেডিও শোনা তাঁর ছেলেবেলার অভ্যাস। দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছরধরে রেডিও শুনছেন তিনি।