উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহকারী সহসভাধিপতি দুলাল দেবনাথ বলেন, বাস্তবে সেতুটি বাম আমলে তৈরি হয়েছে। অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ হয়েছিল। যার জন্য এই অবস্থা। আমরা গত বছর জেলা পরিষদ গঠন হওয়ার এই সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তারপর নির্বাচন এসে যাওয়ায় কিছু করা যায়নি। নির্বাচন প্রক্রিয়া মিটলে নতুন করে নির্মাণ করা হবে।
মালবাজার শহর থেকে জলপাইগুড়ি যাওয়ার দুটি রাস্তা রয়েছে। একটি চালসা বাতাবাড়ি ও লাটাগুড়ি ৩১ নং জাতীয় সড়ক অন্যটি বড়দিঘি বাজার হয়ে নেওড়া মোড় পর্যন্ত রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে। কিন্তু এই সড়কে নেওড়া নদীর উপর সেতু রয়েছে। এই সেতুর মধ্যে অসংখ্য ফুটো হয়ে গিয়েছে। এগুলি মেরামতি করা না হলে গাড়ির চাকা ঢুকে যেকোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এই সড়কটি তেশিমলা, বড়দিঘি, কুমলাই লাটাগুড়ি হয়ে জলপাইগুড়ি গিয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই পথে যাতায়াত করেন। পাশেই রয়েছে নেওড়া নদী চা বাগান। চা বাগানের পন্য সামগ্রী থেকে সেখানের বাসিন্দারা এই পথ ধরে মালবাজার শহরে আসেন। পাশাপাশি সহজে জলপাইগুড়ি যাতায়াত করেন। এই পথ ধরে কয়েকশ স্কুল পড়ুয়া নিয়মিত চলাচল করে। এহেন এক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় নেওড়া নদী চা বাগানের কারখানার কাছেই সেতুটি রয়েছে।
কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্য বাদশা আহমেদ বলেন, সেতুটি সত্যিই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। বর্ষার সময় যাতায়াত করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। পাশাপাশি এই সেতুর ফিডিং রোডেরও বেহাল অবস্থা। যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রাস্তা ও সেতু দুটির দায়িত্ব জেলা পরিষদের। ওদের বলাও হয়েছে। নির্বাচন বিধিনিষেধ আরোপ থাকায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। নির্বাচন মিটলে জেলা পরিষদ উদ্যোগ নেবে বলে শুনেছি। বিজেপির মাল বিধানসভা কেন্দ্রের সম্প্রচারক মঙ্গল ওঁরাও বলেন, সেতুটি সত্যি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এখনও বর্ষা সেরকম হয়নি। তাই পাশের ঝোরার উপর দিয়ে কাদার মধ্যদিয়ে বড় গাড়ি চলাচল করছে। বর্ষার সময় সেটাও বন্ধ হয়ে যাবে। তখন পণ্য আদান প্রদান অনেক ঘুর পথে করতে হবে। তাছাড়া সেতুটির যা অবস্থা যেকোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। আমরা বিভিন্ন মহলে ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেছি।