উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হবিবপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে মোট বুথ হচ্ছে ২৪৭টি। ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৪০ হাজার ৭১ জন। এই পরিমাণ ভোটারের জন্যে প্রশাসন প্রায় ১ লক্ষ ২৩ হাজার লিটার পরিশ্রুত পানীয় জল বিশেষ বরাদ্দ করেছে। ভোটের আগের দিন জেলা থেকে ট্যাঙ্কের মাধ্যমে প্রতিটি বুথে পর্যাপ্ত জল পৌঁছে যাবে। পাশাপাশি রোদ থেকে বাঁচাতে ভোটার লাইনের জন্য মাথার উপর ছাউনি করা হচ্ছে। যে বুথে যতটা ছাউনি প্রয়োজন সেই হিসেবেই ছাউনি গড়ে তোলা হবে। তাতে ফ্যান লাগিয়ে দিয়ে ভোটারদের স্বস্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
হবিবপুর ব্লকের বিডিও শুভজিৎ জানা ও বামনগোলা ব্লকের বিডিও তপনজ্যোতি বিশ্বাস বলেন, তীব্র দাবদাহ থেকে ভোটারদের স্বস্তি দিতে প্রতিটি বুথেই আমরা পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করছি। প্রতিটি বুথেই ভোটের দিন প্রায় ৫০০ লিটার পরিস্রুত পানীয় জল মজুত থাকবে। ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে যাতে স্বস্তিতে ভোট দিতে পারেন এজন্য ছাউনি, ফ্যানের ব্যবস্থা থাকছে। ইতিমধ্যেই ছাউনি গড়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
মালদহের হবিবপুর উপনির্বাচন নিয়ে যখন শাসক-বিরোধী শিবিরে লড়াইয়ের প্রস্তুতি তুঙ্গে তখন অরাজনৈতিক এক কারণ সমস্ত দলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। তা হল তীব্র দাবদাহ। গত কয়েকদিন ধরে জেলার তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে। মাঝে ঝড়বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস থাকলেও স্থায়ীভাবে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কোনও ইঙ্গিত মিলছে না। এই অবস্থায় ভোটের প্রবল দাবদাহ থাকলে তা নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে বলেই রাজনৈতিক মহল আশঙ্কা করছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত শর্মা বলেন, তীব্র গরম একটি সমস্যা বটে। তবে মানুষ তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জন্যে সমস্যাগুলোকে গুরুত্ব দেবেন না, এমনটাই আমরা আশা করি। ভোটারদের সমস্যা মেটানোর জন্যে প্রশাসন অনুমতি দিলে আমরা কিছু পদক্ষেপ করব। বিজেপি’র জেলা প্রবক্তা অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, খুবই ভয়াবহ গরম। এই পরিস্থিতিতে মানুষদের ভোট দিতে আগ্রহ কমে যেতে পারে। বিষয়টি অবশ্যই ভাবনার। সিপিএম জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র অবশ্য বলেন, হবিবপুরের মানুষ এই পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচিত। নিজেদের অধিকারের জন্যেই তাঁরা যাবতীয় পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করবেন।