উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জখম আরএসপি কর্মী মনোরঞ্জন সরকার বলেন, প্রথমে ভোটের সমীক্ষা নিয়ে আলোচনা চলছিল। কথা হতে হতে বাম দলকে নিয়ে বিজেপির ছেলেরা কটূক্তি করতে শুরু করে। আমাকে জোর করে বিজেপি করার কথা বলে। আমি সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদ করতেই দু’জন বিজেপি কর্মী আমার উপর চড়াও হয়। আমাকে লাথি, ঘুসি মারা হয়। এনিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। ওদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি চাই। আরএসপির যুব নেতা সুরজ কুণ্ডু বলেন, আমাদের এক কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আমরা ওই দুই বিজেপি কর্মীর শাস্তি দাবি করছি। বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার অবশ্য বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। দক্ষিণ দিনাজপুরের ডেপুটি পুলিস সুপার (সদর) ধীমান মিত্র বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে ভোটের সম্ভাব্য ফল নিয়ে সেখানে সামান্য গণ্ডগোল হয়েছিল।
এবার লোকসভা ভোটে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় হাতেগোণা বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনা ছাড়া বড় কোনও অশান্তি হয়নি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছে। ভোটের পরেও রাজনৈতিক দলগুলি মধ্যে সংঘর্ষের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে ভোটে কে জয়লাভ করবে তা নিয়ে তুমুল চর্চা রয়েছে জেলায়। এদিন মাহিনগরে চায়ের ঠেকে সে রকমই আলোচনা চলছিল। ওই চায়ের ঠেকে প্রতিদিনই আড্ডা বসে। সেখানে প্রায় সব দলের সমর্থকই আসে। নিজেদের মধ্যে ভোট নিয়ে আলোচনাও তারা করে। এদিন সেখানে বিজেপি ও বাম সমর্থকদের মধ্যে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। সেই আলোচনা থেকে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। তা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়।
মনোরঞ্জন সরকার দীর্ঘদিন ধরে এলাকার সক্রিয় বাম কর্মী বলে পরিচিত। এদিন সকালে ওই চায়ের দোকানে দুই বিজেপির কর্মীর সঙ্গে লোকসভা ভোটে কোথায় কেমন ভোট হয়েছে,কোন এলাকায় কে জিততে পারে, ডাঙ্গা এলাকায় কেমন ফলাফল হতে পারে এই নিয়ে আলোচন শুরু হয়। বিজেপির দুই কর্মী দাবি করে জেলা থেকে বাম নিচিহ্ন হয়ে যাবে। দ্রুত মনোরঞ্জনবাবুকে বিজেপিতে যোগদান করার জন্য রীতিমতো শাসাতে থাকেন। এই নিয়ে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। তা হাতাহাতিতে গড়ালে মনোরঞ্জন সরকারকে বেধড়ক মারধর করে দুই বিজেপি কর্মী। তড়িঘড়ি দোকানে থাকা অন্য ব্যক্তিরা ছূটে এসে তাদের ছত্রভঙ্গ করে, তাঁরাই মনোরঞ্জন সরকারকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদিকে দুপুরে এদিন ওই দুই বিজেপির কর্মীর নামে মনোরঞ্জনবাবু স্ত্রী বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, ওই দুই বিজেপি কর্মী এদিন সকালে তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে কুপ্রস্তাব দেয়। তিনি প্রতিবাদ করলে তারা তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করে ও তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। তাঁর স্বামী বাধা দিলে তাকে ওই দুই দুষ্কৃতী মারধর করে। এদিকে সকালে ভোটের সম্ভাব্য ফল নিয়ে গণ্ডগোলের ঘটনার পর মনোরঞ্জনবাবুর স্ত্রীর তোলা অভিযোগ নিয়ে এলাকায় ধন্দ তৈরি হয়েছে। যদিও হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মনোরঞ্জনবাবু ভোটের ফল নিয়ে বিবাদের কথাই পুলিসকে জানিয়েছেন।