উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
বৃদ্ধার ছেলে জীবেন কুণ্ডু বলেন, আমি সকালে শৌচাগারে গিয়েছিলাম। সেই সময়ে আশপাশের বাড়ি থেকে চিৎকার শুনতে পাই। আমি অসুস্থ। কোনওমতে সেখান থেকে বের হয়ে এসে দেখি মায়ের ঘরে আগুন। সকলেই ছুটে এসেছিল। কিন্তু ততক্ষণে আগুন অনেকটা ছড়িয়ে গিয়েছে।
বৃদ্ধার বড় মেয়ে জয়শ্রী ধর বলেন, আমি পাশেই থাকি। এদিন সকালে এসে মা ও দাদাকে খাইয়ে সওয়া ৯টা নাগাদ বাড়িতে যাই। তার পরেই ফোনে খবর পাই যে মায়ের ঘরে আগুন লেগেছে। সেই খবর শুনে ছুটে আসি। ঘর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল। মা নীচে পড়ে ছিলেন।
রায়গঞ্জ পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। বৃদ্ধার ঘর থেকে তাঁর অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে মশা তাড়ানোর মেশিন থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতে শান্তিরানিদেবী ও তাঁর ছেলে থাকতেন। শান্তিরানীদেবীর স্বামী জীতেন্দ্রনাথ কুণ্ডু ২৫ বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন। বৃদ্ধার চার মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়েদের সকলেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছেলে জীবেনবাবু আগে ঠিকাদারি করতেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন। গত সোমবার তিনি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে এসেছেন। এদিন ঘটনার পর দুপুরে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তখনও তার অক্সিজেন চলছে।
অসুস্থতার কারণে বৃদ্ধা ঘর থেকে বিশেষ বের হতেন না। বাড়ির পাশে থাকা মেয়েরাই তাঁর দেখাশুনা করতেন। তাঁর ঘরের খাটের পাশেই একটি আলনা ও একটি আলমারি ছিল। সেই আলনার পাশেই একটি সুইচ বোর্ডে মশা মারার তেলের মেশিনটি লাগানো ছিল। সেই মেশিনটি প্রায় সর্বক্ষণই জ্বলত। পরিবারের অনুমান, অত্যধিক গরম হয়ে তা থেকেই কোনওভাবে আগুন ছড়াতে পারে। বিছানার তোষক, পাশে থাকা আলমারি ও খাটের একাংশ, সবই পুড়ে যায়। বৃদ্ধকেও অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় খাটের পাশে মেঝে থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এদিন সকালে ধোঁয়া দেখে স্থানীয়রাই প্রথমে ছুটে এসে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। পরে দমকলের দু’টি ইঞ্জিনও আসে। শহরের মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থিত মিলনপাড়ার মতো জায়গায় দিনের বেলায় ঘরে আগুন লেগে এক বৃদ্ধার মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।