বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
মাথাভাঙা থেকে ঘোকসাডাঙা যাওয়ার পথে শিলডাঙা চৌপথি হয়ে কালপানি চাপাগুড়ি তোর্সা নদীর পাড় পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার পাকা রাস্তা রয়েছে। প্রেমেরডাঙা, উনিশবিশা গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষ এই নদী পেরিয়ে জেলা শহর কোচবিহারে যাতায়াত করেন। শুকনো মরশুমে নদীতে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়েই যাতায়াত চলে। নদীর অপর পাড়ে রয়েছে মধুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। মধুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রাম এপারে রয়েছে। সামান্য কাজেও বাসিন্দাদের নদী পেরিয়ে মধুপুর পঞ্চায়েত অফিসে যেতে হয়। শুকনো মরশুমে তেমন সমস্যা না হলেও বর্ষাকালে ব্যাপক সমস্যা হয়। সেসময় কালপানি ও সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের ঘোকসাডাঙা হয়ে পুণ্ডিবাড়ি রাজারহাট দিয়ে ৪০ কিলোমিটার ঘুরে কোচবিহারে যেতে হয়। মাথাভাঙা-২ ব্লকের বাসিন্দারা বহুদিন ধরেই হাঁসখাওয়া ঘাটে সেতু তৈরির দাবি জানিয়ে আসছেন। কয়েক বছর আগে বাসিন্দারা এব্যাপারে রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা মাথাভাঙার বিধায়ককে স্বারকলিপিও দিয়েছেন। যেহেতু তোর্সার উপর এই সেতু তৈরিতে প্রচুর টাকা লাগবে তাই রাজ্যের একার পক্ষে তার জোগান দেওয়া সম্ভব নয়। তাই তাঁরা এনিয়ে লোকসভা উপনির্বাচনের সময় প্রার্থীদের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনেও তাঁরা হাঁসখাওয়া ঘাটে সেতু তৈরির জোরাল দাবি তুলেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা বিমল দত্ত, নির্মল বর্মন, দীপক মণ্ডলরা বলেন, আমরা বহুদিন ধরে হাঁসখাওয়া ঘাটে সেতু তৈরির দাবি জানিয়ে আসছি। এব্যাপারে স্থানীয় বিধায়ক তথা বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে জানানো হয়েছে। যেহেতু তোর্সার উপর অনেক লম্বা সেতু তৈরি করতে হবে তাই লোকসভা নির্বাচনে যেসমস্ত প্রার্থী ভোট প্রচারে আসবেন তাঁদের সবার কাছে সেতু তৈরির দাবি জানাব। যিনি আমাদের ব্রিজ তৈরির প্রতিশ্রুতি দেবেন আমরা তাঁকেই সমর্থন করব। বনমন্ত্রী বর্মন বলেন, আমি এনিয়ে চেষ্টা চেষ্টা করেছি। কিন্তু রাজ্যের একার পক্ষে কয়েকশো কোটি টাকা খরচ করে এই সেতু নির্মাণ করা কষ্টকর। হাঁসখাওয়া ঘাটে সেতু হলে বাসিন্দাদের সুবিধা হবে। মাথাভাঙা শহরের ব্যবসায়ী বরুণ সাহা বলেন, আমরা স্থানীয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বেশ কয়েকবার হাঁসখাওয়া ঘাটে সেতুর দাবি তুলেছিলাম। এই সেতু হলে কোচবিহার শহর থেকে মাথাভাঙার দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার কম হবে। এতে সময় ও টাকা দুটিই সাশ্রয় হবে।