বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
যদিও জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রত্যেকটি অঞ্চলে প্রতিদিন যুবদের নিয়ে সাংগঠনিক মিটিং করা হচ্ছে। যাঁরা ওই ধরনের কথা বলছেন তাঁদের রাজনৈতিক জ্ঞানের অভাব রয়েছে। লোকসভা ভোটে জলপাইগুড়িতে দলের প্রার্থী বিজয় চন্দ্র বর্মন রেকর্ড ভোটে জয়ী হবেন। ভোটের ফলাফলেই সেটা প্রমাণ হয়ে যাবে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বিজেপি জলপাইগুড়ি জেলায় শাসক দলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল হয়ে উঠে এসেছে। রাজনৈতিক মহল বলছে, আগের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তৃতীয় স্থানে থাকলেও এখন দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসার পিছনে যুবদের একটা বড় অংশের সমর্থনে সেটা সম্ভব হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি’র যে জনপ্রতিনিধিরা জয়ী হয়েছেন তাদের অধিকাংশই যুবক যুবতী। মূলত গ্রামীণ এলাকায় কমবেশি জনপ্রতিনিধি বিজেপির রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপি ইতিমধ্যে প্রত্যেকটি বুথ কমিটি গঠন করেছে।
দলের জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, জলপাইগুড়ি লোকসভার প্রত্যেকটি বুথ গঠন করা হয়েছে। ২১-৩১ জনের বুথ কমিটি ইতিমধ্যে নির্বাচনী প্রচারেও নেমে পড়েছে। দলের অধিকাংশ বুথ সভাপতি যুবদের করা হয়েছে। তাঁদের নেতৃত্বে বুথ কমিটির সদস্যরা গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে মানুষের কাছে যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় কী কী প্রকল্পের সুবিধা বাসিন্দারা পেয়েছেন, সেসকল বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি বিজেপির পতাকা যুবরা বাড়ি বাড়ি উড়িয়ে দিচ্ছেন। শাসক দলের সন্ত্রাস, দুর্নীতির দিকগুলি বাসিন্দাদের কাছে যুবরাই তুলে ধরছে। শাসক দলের জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের একাংশের রাতারাতি আর্থিক অবস্থার উন্নতি, দৈনন্দিন জীবনযাত্রার যে পরিবর্তন ঘটেছে, সেটাও গ্রামগঞ্জের মানুষ ভালো চোখে দেখছেন না। তাই বিজেপি কর্মীরা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে প্রচারে গিয়ে ভালো সাড়া পাচ্ছেন। মানুষ ভোটবাক্সে জবাব দিতেও তৈরি হয়েছেন। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো সন্ত্রাস চালানোর চেষ্টা এবারে হলে গ্রামের যুবরাই প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। এর পাল্টা যুব তৃণমূল সভাপতি বলেন, শহর গ্রাম সর্বত্রই শাসক দলের সঙ্গে যুবক যুবতীরা রয়েছেন। গত পঞ্চায়েত সামান্য কিছু আসনে জিতে বিজেপি লোকসভায় ভালো ফলের স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু আমাদের যুবক যুবতীরাই বিজেপির সেই স্বপ্নভঙ্গ করে দেবেন।