বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
পাহাড় থেকে নির্বাসনের পরেই বিমল গুরুংকে মোর্চার সভাপতি থেকে বহিষ্কার করেন বিনয় তামাং। মোর্চা সুপ্রিমোর জায়গায় বসেন বিনয় তামাং। এরপর গুরুংপন্থী নেতাদের অধিকাংশ একে একে বিনয় শিবিরে যোগদান করেন। গুরুং জমানাতেই অমরবাবু দার্জিলিংয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হন। মোর্চার ভাঙনের সঙ্গে সঙ্গেই তিনি বিনয় শিবিরে যোগদান করেন। একসময় দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন। শিক্ষিত, মৃদুভাষী এবং প্রশাসন চালানোর অভিজ্ঞতা থাকায় তৃণমূল নেত্রী অমরবাবুকেই প্রার্থী নির্বাচন করেন। তৃণমূল নেত্রী প্রার্থী ঘোষণার পরে জানিয়েছেন, পাহাড়বাসীর কাছের মানুষ ভূমিপুত্রকেই আমরা এবার প্রার্থী করেছি। প্রার্থী ঘোষণার পরই অমরবাবু বলেন, আমার উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আস্থা রাখায় আমি কৃতজ্ঞ। পাহাড় সমতল বলে ভেদাভেদ নয়। আমি সকলের জন্য কাজ করতে চাই। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, অমর সিং রাই শিক্ষাবিদ। তিনি দীর্ঘদিন লরেটো কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ ছিলেন। ওঁর পরিবারও উচ্চ শিক্ষিত। তিনি দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন এবং বর্তমানে বিধায়ক। দার্জিলিং জেলার মানুষ। পাহাড় এবং সমতলে তাঁর জনপ্রিয়তা আছে। সবদিক দিয়ে খুবই ভালো প্রার্থী হয়েছে। সবদলের কাছেই তাঁর গ্রহণযোগ্যতা আছে এবং আমরা আশাবাদী তাঁকে মানুষ বিপুলভাবে সমর্থন করবেন।
এদিকে সিপিআরএমের মুখপাত্র গোবিন্দ ছেত্রি বলেন, বিনয়পন্থী মোর্চার পাহাড়ের বাসিন্দাদের কাছে ভোট চাওয়ার রাস্তা নেই। তাই ওরা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে বাধ্য হয়েছে। তবে এতে পাহাড়বাসীর ভোট পাওয়া যাবে না। জিএনএলএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা দলের মুখপাত্র নীরজ জিন্মা বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ও বিনয় তামাংরা যে একই তা প্রমাণ হয়ে গেল। বিমল গুরুংয়ের দলই আসল মোর্চা। বিনয় তামাংরা মোর্চার নাম দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস করছে এটা পাহাড়বাসীর কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তিনি দাবি করেন, অমর সিং রাই বহুদিন ধরে পাহাড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্ট হয়ে কাজ করছিলেন বলে অনেকেই বলছিল। তৃণমূল তাঁকে প্রার্থী করায় সেটাই প্রমাণ হল। পাহাড়ের মানুষ এর জবাব দেবেন। গুরুংপন্থী মোর্চা নেত্রী তথা কালিংম্পয়ের বিধায়ক সরিতা রাই বলেন, প্রার্থী হিসাবে অমর সিং রাই ঠিকই আছে। কিন্তু পাহাড়ের মানুষ তাঁকে সমর্থন করবে না। জন আন্দোলনের পার্টির (জাপ) সভাপতি হরকা বাহাদুর ছেত্রি বলেন, বিনয় তামাংরা তো পাহাড়বাসীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন। ওরা তো গোর্খাল্যান্ডের কথা ভুলে গিয়ে এখন তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন। পাহাড়ের মানুষ ওদের সমর্থন করবেন না।