বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
চোপড়ার বিধায়ক তৃণমূলের হামিদুল রহমান বলেন, পুলিস যাদের ধরেছে তারমধ্যে বেশিরভাগই আমাদের দলের কর্মী। কিছু নিরীহ মানুষকেও পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। চোপড়া ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অশোক রায় বলেন, সকালের দিকে লক্ষ্মীপুর বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী দোকান খুলেছিলেন। কিন্তু দুপুরের দিকে পুলিস এলাকায় ঢুকে ধরপাকড় শুরু করায় তাঁরা আতঙ্কে দোকান বন্ধ করে চলে যান। পুলিস যাঁদের গ্রেপ্তার করেছে তাঁদের মধ্যে কয়েকজন আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী রয়েছেন। প্রকৃত অপরাধীদের পুলিস গ্রেপ্তার করতে পারছে না।
ইসলামপুর ব্যবসায়ী সমিতির মুখপাত্র দামোদর আগরওয়াল বলেন, পুলিসকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যবস্থা নিতে হবে। দোকানাপট বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
অতিরিক্ত পুলিস সুপার কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। ধরপাকড় চলছে। এদিন ন’জনকে কোর্টে পাঠানো হয়।
পুলিস জানিয়েছে, লক্ষ্মীপুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ন’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার তাদের ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। সরকারপক্ষের আইনজীবী জনার্দন সিংহ বলেন, চোপড়া থানার লক্ষ্মীপুরের ঘটনায় পুলিস ন’জনকে এদিন আদালতে তোলে। বিচারক তাদের আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে চোপড়া থানার লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙাপাড়ায় কংগ্রেস পরিবারের সদস্য এক ভিলেজ পুলিসকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলীদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে পরবর্তীতে সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ সেখানে গোলাগুলি হয়। তাতে কংগ্রেসের দুই কর্মী গুলিতে জখম হয়। তাঁদের প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে পরে সেখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সোমবার গভীর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুলিবিদ্ধ সাহিদ আলমের মৃত্যু হয়। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত সাহিদ লক্ষ্মীপুর অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতি সহিদুল ইসলামের ভাইপো। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস কর্মীরা ক্ষুব্ধ ওঠেন। অভিযোগ, এরপরেই মঙ্গলবার ডাঙাপাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। চারটি বাড়িতে তারা আগুন ধরিয়ে দেয়। সেসঙ্গে কয়েকটি বাড়িতেও ওই দুষ্কৃতীরা যথেচ্ছভাবে ভাঙচুর চালায়, গুলি ও বোমা ছোঁড়ে। ঘটনাস্থলে মঙ্গলবার থেকেই বিশাল পুলিস বাহিনী টহল দিচ্ছে। পুলিসের দাবি, বর্তমানে সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে পুলিসের ধরপাকড় চলছে। মোট ন’জন জনকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। এদিন দুপুর থেকে পুলিস আবার গ্রামে গিয়ে ধরপাকড় শুরু করে। ওই ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
গ্রামবাসীরা বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়েও গ্রামে ব্যাপক গণ্ডগোল হয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনেও গণ্ডগোলের আশঙ্কা তাঁরা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। ইতিমধ্যেই একজনের প্রাণ গিয়েছে। পঞ্চায়েতে ভোটের পর মাঝেমধ্যেই রাজনৈতিক সংঘর্ষের লক্ষ্মীপুরে ঘটছে। এতে স্বাভাবিক জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। গণ্ডগোলের জেরে হাটবাজার বন্ধ হয়ে থাকছে। এর প্রভাব ব্যবসাতেও পড়ছে। এলাকায় উত্তেজনা হলেই লক্ষ্মীপুর ভায়া রামগঞ্জ হয়ে ইসলামপুর রুটের বাস, ট্রেকার সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।