গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
চোপড়ার কৃষকরা বলেন, নোটিস না দিয়ে এদিন আচমকাই চোপড়া ধান ক্রয় কেন্দ্রটি স্থানান্তরিত করা হয়। অনেক চাষিই সেখানে গিয়ে ফিরে যান। চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের আজাহার উদ্দিন বলেন, চোপড়া গার্লস হাইস্কুলের সামনেই ধান ক্রয় কেন্দ্রটি ছিল। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেজন্য খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের সঙ্গে অলোচনা করে অস্থায়ীভাবে ওই কেন্দ্রটি সরিয়ে সোনাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও সেটি সরানোর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের লিখিতভাবে কিছু জানায়নি।
চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তৃণমূলেরই লতিকা সিংহ রায় বলেন, ওই ধান ক্রয় কেন্দ্রটি সরানোর জন্য স্কুল কোনও আবেদন করেনি। পরীক্ষার অজুহাত দেখিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সেটি নিজের মর্জিতে স্থনান্তর করে চাষিদের সমস্যার মুখে ফেলেছেন। এজন্য কৃষকদের গাড়ি ভাড়া বেশি লেগেছে।
জেলা খাদ্য নিয়ামক অমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ইসলামপুরে রাইস মিলার দেরিতে পৌঁছনোয় ধান কিনতে দেরি হয়েছে। তবে এদিন সেখানে ধান কেনা হয়েছে। চোপড়ার ধান ক্রয় কেন্দ্র স্থনান্তরের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
ইসলামপুরের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে এদিন চাষিরা ট্রাক্টরে ধান বোঝাই করে কৃষকবাজারে আসেন। কিন্তু দুপুর ২টো পর্যন্ত রাইস মিলার না আসার কৃষকবাজারের গেট বন্ধ করে রাখা হয়। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ট্রাক্টরের লম্বা লাইন পড়ে যায়। দুপুর আড়ইটের দিকে রাইস মিলার আসেন। তখন ধান কেনা শুরু হয়। এদিকে ওই ধান বিক্রি করতে সন্ধ্যা গড়িয়ে যায়। অনেকইে এদিন ধান বিক্রি করতে না পেরে ঘুরে যান। চাষিদের দাবি, কয়েকজন বাধ্য হয়ে ফড়েদের কাছে এদিন ধান বিক্রি করে দিয়ে যান।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টে পর্যন্ত ধান কেনাবেচা করার কথা। ২০১৮-১৯ খরিফ মরশুমে রাজ্য সরকার ১ নভেম্বর থেকে ধান কেনা শুরু করেছে। প্রতি কুইন্টাইল ধানের সহায়ক মূল্য ১৭৫০ টাকা। কুইন্টাইল প্রতি আরও বাড়তি ২০ টাকা করে উৎসাহ মূল্য কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার ন’টি ব্লকে মোট ১৭টি জায়গায় ধান কেনা হচ্ছে। বর্তমানে চাষিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার পরিবর্তে চেকের মাধ্যমে দাম মেটানো হচ্ছে। ফড়েদের উৎপাত কমাতে ধান ক্রয় কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা ও পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে।