পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
ইংলিশবাজার রেগুলেটেড মার্কেট ফ্রুট অ্যান্ড ভেজিটেবল কমিশন এজেন্টস’ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে নিয়ন্ত্রিত বাজারে ১৬৮ জন পাইকারি সব্জি ও ফল ব্যবসায়ী রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, নিয়ন্ত্রিত বাজারের পার্কিং জোন বহুদিন থেকেই জবরদখল করে রেখেছেন অননুমোদিত একদল সব্জি বিক্রেতা। এতে সমিতির মূল বাজার মার খাচ্ছে। সংগঠনের সভাপতি রাজকুমার প্রসাদ বলেন, পার্কিং জোন দখল হয়ে থাকায় ফল ও সব্জিবাহী বহু লরি সেখানে দাঁড়াতে পারছে না। এলাকায় প্রবল যানজট হচ্ছে। পাশাপাশি ওই অননুমোদিত ব্যবসায়ীদের জন্য আমাদের ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সংগঠনের সম্পাদক অশোক দাস বলেন, আমরা ১০ ডিসেম্বর এবং ১০ জানুয়ারি জেলা নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির চেয়ারম্যান তথা জেলাশাসককে পুরো বিষয় জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীরও দ্বারস্থ হয়েছি। আমাদের দাবি, অননুমোদিত ব্যবসায়ীদের পার্কিং জোন থেকে সরাতে হবে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে অনেক ক্ষতি স্বীকার করেছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের বন্ধ চলবে। অশোকবাবুদের অভিযোগ, যাঁরা পার্কিং জোনে সব্জি বিক্রি করছেন তাঁরা নিজেদের কৃষক পরিচয় দিলেও তাঁরা আদৌ তা নন। তাঁরা কৃষকদের থেকে কম দামে সব্জি কিনে ব্যবসা করছেন। এতে কৃষকরা উৎপাদিত সব্জির ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। কৃষকদের জন্য নিয়ন্ত্রিত বাজারে আলাদা শেড রয়েছে। সেখানে অন্তত ২০০ জন কৃষক উৎপাদিত সব্জি সরাসরি পাইকারদের কাছে বিক্রয় করতে পারেন। কিন্তু ওই পার্কিং জোনের ব্যবসায়ীরা কৃষকদের ওই শেডে যেতে দিচ্ছে না। নিজেরাও যাচ্ছেন না।
এদিকে বিরোধী সংগঠন মালদহ প্রগ্রেসিভ ভেজিটেবল বিজনেসম্যানস’ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ধনঞ্জয় মণ্ডল বলেন, আমরা সারা বছর রাত জেগে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সব্জি এনে এখানে বিক্রি করি। আমাদের সঙ্গে অনেক কৃষকও সব্জি বিক্রি করেন। আমরা বহুদিন থেকেই পুনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছি। কিন্তু সেই দাবি মানা হয়নি। আমরাও দাবিদাওয়া নিয়ে একাধিকবার জেলাশাসক এবং রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু সাড়া মেলেনি। আমাদের নিয়ন্ত্রিত বাজার থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা চলছে। বন্ধ ওরা করুক। আমরা বেশি পণ্য সরবরাহ করে খুচরো বাজারে সব্জির জোগান স্বাভাবিক রাখব।
নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে রোজ প্রায় এক কোটি টাকার টার্ন ওভার হয়। নিয়মিত রাজস্ব আদায়ও হয়। পাশাপাশি সেখান থেকে প্রতিদিন গড়ে ২৫ গাড়ি পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি হয়। বন্ধে সবটাই ক্ষতির মুখে পড়বে। এনিয়ে মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, আমরা বন্ধ চাই না। কিন্তু পার্কিং জোনে ব্যবসা করার পক্ষেও আমরা নই। কৃষকদের নির্দিষ্ট শেড রয়েছে। তাঁরা সেখানেই ব্যবসা করুন। জেলা প্রশাসন এবিষয়ে উদ্যোগ নিক। জেলা নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির সচিব অনুপম মৈত্র বলেন, আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এনেছি। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। জেলা নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির চেয়ারম্যান তথা জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, পার্কিং প্লেস খালি করতেই হবে। সবপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমাধানে পৌঁছনোর চেষ্টা করছি।