উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
এদিন সাংবাদিকদের গেহলট জানান, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই এই মামলায় পদক্ষেপ নিয়েছে। অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হয়েছে। এসপিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসএইচওকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এরপরও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গত ২৬ এপ্রিল থানাগাজি-আলওয়ার বাইপাসে এক দম্পতির বাইকের পথ আটকায় ছ’জন দুষ্কৃতী। তাঁদের নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে স্বামীর সামনেই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়। ঘটনার খবর গত সপ্তাহে প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। দলিত মহিলার উপর এই অত্যাচার নিয়ে বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর মন্তব্যকে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি মায়াবতীর উদ্বেগকে ‘কুমিরের কান্না’ বলার পাশাপাশি ‘নোংরা রাজনীতি’ করার অভিযোগ তোলেন। রবিবার পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া এবং খুশিনগরে একটি নির্বাচনী সভায় মোদি বলেন, দয়া করে কুমিরের কান্না দেখাবেন না। যদি আপনি এতই সিরিয়াস হন, তাহলে রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করুন।
মোদির এই বক্তব্যের কারণ, গত শনিবার মায়াবতী বলেন, রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার ওই নির্যাতিতার পরিবারকে ভয় দেখিয়ে মামলাটি চেপে রেখেছিল। পুলিসও অভিযোগ দায়ের করতে রাজি হয়নি। এইরকম পরিবেশে, নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবার সঠিক বিচার পাবে না। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টকে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানান বিএসপি নেত্রী।
এব্যাপারে গেহলটের বক্তব্য, বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) প্রধান ওই সম্প্রদায়ের নেত্রী। দলিতদের উপর অপরাধ নিয়ে তাঁর উদ্বেগ স্বাভাবিক এবং ন্যায়সঙ্গত। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, স্থানীয় বিজেপি নেতা হেম সিং ভাদানা নির্যাতিতার পরিবারকে চেয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমি পুলিসকে নজর রাখতে বলেছি। রাজস্থানে বিজেপি সরকারের আমলে একাধিক এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। উত্তরপ্রদেশের বিধায়ক ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু মোদি কোনওদিনই সে ব্যাপারে কিছু বলেননি। রাজস্থানে এসে প্রচার করার কোনও অধিকার প্রধানমন্ত্রীর নেই।