বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
এখনও পর্যন্ত কেসিআর ও জগন দু’জনেই কংগ্রেস ও বিজেপি থেকে সম দূরত্ব বজায় রেখে চলেছেন। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, তলায় তলায় দুই নেতার সঙ্গেই কংগ্রেসের তুলনায় বিজেপির ঘনিষ্ঠতা বেশি। কারণ তেলেঙ্গানায় কেসিআরের প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস। আবার অন্ধ্রে এক দশকেরও বেশি কংগ্রেসের সঙ্গে জগনের সম্পর্কের তিক্ততা বজায় রয়েছে। জগনের বাবা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস রাজশেখর রেড্ডির মৃত্যুর পর থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে জগনের।
এরই মধ্যে সামনে এসেছে অন্য একটি রিপোর্টও। ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিনের দরজায় ফের কড়া নাড়লেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। সোমবার স্ট্যালিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য সময় চাইলেন কেসিআর। ফলপ্রকাশের পর কেন্দ্রে অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তবে কংগ্রেসের জোট শরিক স্ট্যালিনের সঙ্গে সাক্ষাতের যে চেষ্টা নাইডু করেছিলেন, তা তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন ডিএমকে প্রধান। এবার রাজনৈতিক দৌত্যের অঙ্গ হিসেবে কেসিআর স্ট্যালিনের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চাইলেন বলে রিপোর্ট।
গত সপ্তাহে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ সিপিএম নেতা পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন টিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও। পরে এই বৈঠককে ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মন্তব্যও করেছিলেন কেসিআর। তবে অন্য নেতানেত্রীদের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত বিশেষ কোনও সাড়া পাননি তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী বিজয়নের বক্তব্য ছিল, ২৩ মে ফলপ্রকাশের আগে কোনও সিদ্ধান্ত হতে পারে না।
ফল প্রকাশের দু’দিন আগে ২১ মে দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী ২১ দলের বৈঠক হতে চলেছে বলে খবর। ফলপ্রকাশ পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে কৌশল নির্ধারণের জন্য। কিন্তু সেই বৈঠকে কেসিআরের উপস্থিতির সম্ভাবনা খারিজ করে দিচ্ছে তেলেঙ্গানা মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল। টিআরএসের একটি সূত্র থেকে বলা হয়েছে, চন্দ্রবাবু নাইডু যে মঞ্চে উপস্থিত থাকছেন, সেখানে আমরা থাকতে পারি না। তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ, দুই রাজ্যেই নাইডুর দলের সঙ্গে লড়াই হচ্ছে আমাদের। আবার কেসিআর পৃথকভাবে যে উদ্যোগ নিচ্ছেন, তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তিনি নিজেও অ-বিজেপি সরকার গঠনের উদ্যোগ নিতে শুরু করেছেন। অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, কংগ্রেসের সমর্থন ছাড়া বিজেপি বিরোধী সরকার গঠন সম্ভব নয়। নাইডুর এই ভূমিকায় বেকায়দায় রয়েছেন জগন। রাজ্যে তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী নাইডুই। তিনি জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের দিকে ঝোঁকায় রাজনৈতিক কারণেই জগন এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকতে পারছেন না। কংগ্রেস অন্ধ্রকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র মূল বিরোধী নেতার কারণে প্রকাশ্যে রাহুলের দলের সঙ্গে এখনই ভিড়তে পারছেন না জগন।
জটিল রাজনৈতিক অঙ্ক সত্ত্বেও কংগ্রেস নেতারা আশাবাদী। তাঁরা দাবি করছেন, ১৫০টির কাছাকাছি আসন পেলে আঞ্চলিক দলগুলিকে পাশে পেতে সমস্যা হবে না। কংগ্রেসের এক নেতার দাবি, ১৫০টি আসন পেলে নিশ্চিতভাবেই আমরা সরকার গড়ছি। কেউ আটকাতে পারবে না। অনেক দলই আমাদের সঙ্গে হাত মেলাতে চাইছে।