উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
জানা গিয়েছে, দিল্লির সাতটি লোকসভা কেন্দ্রে সম্পূর্ণ মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত ১৭টি বুথ তৈরি করা হয়েছিল। প্রতিটি বুথেই প্রিসাইডিং অফিসার থেকে কর্মী, দায়িত্ব সামলেছেন শুধুমাত্র মহিলারাই। ঘটনাচক্রে এর মধ্যে চার জেলা নির্বাচনী আধিকারিক তথা রিটার্নিং অফিসারও ছিলেন মহিলা। বুথগুলি ঘুরে দেখে তাঁরাও অত্যন্ত খুশি। চাঁদনি চকের রিটার্নিং অফিসার তানভি গর্গ জানান, নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে উদ্যোগী হয়ে এই পদক্ষেপ নিয়েছিল দিল্লির নির্বাচন কমিশন। তা পূরণও হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মতিয়া মহল এবং মডেল টাউন বিধানসভা এলাকায় এই ধরনের দু’টি ভোটকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছিল। দুই জায়গাতেই আধিকারিক ও ভোটকর্মীদের পরিশ্রম দেখে মহিলা ভোটাররা অত্যন্ত খুশি। কিছুটা অবাক হয়ে গিয়েছেন পুরুষ ভোটাররাও।’ জানা গিয়েছে, ১৭টি মহিলা পরিচালিত বুথের মধ্যে ১০টি বুথই ছিল পূর্ব দিল্লি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে। এছাড়া চাঁদনি চক এলাকায় দু’টি এবং উত্তর-পূর্ব দিল্লি, পশ্চিম দিল্লি, দক্ষিণ দিল্লি, নয়াদিল্লি ও উত্তর-পশ্চিম দিল্লি কেন্দ্রে একটি করে ‘পিঙ্ক বুথ’ তৈরি করা হয়েছিল।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবার ভোট দিলেন রূপান্তরকামীরা। এদিন ভোট দেওয়া ঘিরে উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি দেশের পরবর্তী সরকারের আমলে তাঁদের ভবিষ্যত যাতে আরও সুরক্ষিত হয়, তার জন্যও আশাপ্রকাশ করেন অনেকে। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট রূপান্তরকামীদের ‘তৃতীয় লিঙ্গের’ মর্যাদা দেওয়ার পর এবারই প্রথম ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলেন তাঁরা।
৩২ বছর বয়সি জানাশিন বলেন, ‘আমি এর আগেও ভোট দিয়েছি। কিন্তু এই প্রথম আমি একজন রূপান্তরকামী হিসেবে ভোট দিলাম। নিজের পরিচয়ে ভোট দিতে পেরে আমি গর্বিত।’ মতিয়া মহলে ভোট দেওয়ার পর অপর এক রূপান্তরকামী স্বপ্না বাই বলেন, ‘আমি এমন একটি সরকার চাই, যারা আমাদের সম্পর্কে ভাববে।’ দেশের পরবর্তী সরকার রূপান্তরকামীদের জন্য বিশেষ শৌচালয়ের ব্যবস্থা করবে বলে আশাপ্রকাশ করেন ১৮ বছর বয়সি রূপান্তরকামী ডুম্মিও। দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, এবারের নির্বাচনে দিল্লিতে ৭৮ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯৪৭ জন পুরুষ ও ৬৪ লক্ষ ২১ হাজার ২৮৩ জন মহিলা ভোটারের পাশাপাশি ৬৬০ জন রূপান্তরকামী ভোটারও ছিলেন।