বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
উত্তরপ্রদেশের ১৪টি, হরিয়ানার ১০টি, দিল্লির ৭টি ও ঝাড়খণ্ডের ৪টি আসনের পাশাপাশি বিহার, মধ্যপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের ৮টি করে আসনে এদিন ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। নির্বাচনী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দেশের রাজধানীতে রবিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত ৩৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। হরিয়ানায় এদিন বেলা ৫টা পর্যন্ত ৫১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। উত্তরপ্রদেশের ১৪টি কেন্দ্রে এদিন দুপুর ৩টে পর্যন্ত ৪৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। কমিশনের এক মুখপাত্র জানান, গোটা রাজ্যে গড় ভোটের হার ৯.২৮ শতাংশ। উত্তরপ্রদেশের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এল বেঙ্কটেশ্বর বলেন, ‘সপা কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগের ভিত্তিতে আজমগড়ের এক প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে জেলাশাসকের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।’ উত্তরপ্রদেশের বস্তি লোকসভা কেন্দ্রে এদিন ভোটের হার ছিল সর্বোচ্চ (১১.৪০ শতাংশ)। তালিকায় একেবারে শেষে স্থান হয়েছে ডোমারিয়াগঞ্জের (৭.৬০ শতাংশ)।
বিহারের ৮টি আসনে এদিন ভোটগ্রহণ শুরুর প্রথম চার ঘণ্টায় মোট ১.৩৮ কোটি ভোটারের প্রায় ২১ শতাংশ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ফেলেন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেওহর লোকসভা কেন্দ্রের একটি বুথে ভোটগ্রহণ শুরু আগে কর্তব্যরত হোমগার্ডের বন্দুকের গুলিতে এক ভোটকর্মীর মৃত্যু হয়। এছাড়াও বেশ কয়েকটি বুথ থেকে ইভিএম বিকল হওয়ার অভিযোগও এসেছে বলে জানান তিনি। মধ্যপ্রদেশে এদিন দুপুর দু’টো পর্যন্ত ৪২.২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এক আধিকারিক জানান, মক পোলের সময় ৩০-৪০টি ইভিএমে ত্রুটি ধরা পড়ায় সেগুলি আসল ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই বদলে দেওয়া হয়। ঝাড়খণ্ডেও এদিন প্রবল দাবদাহকে উপেক্ষা করেই ভোটারদের লম্বা লাইন ছিল বুথগুলির সামনে। দুপুরের রোদ এড়াতে সকালবেলাতেই গিরিডি, ধানবাদ, জামশেদপুর ও সিংভূমে ভোটদাতারা বুথে বুথে হাজির হতে শুরু করেন।
ষষ্ঠ দফার এই ভোট বিজেপির কাছে ‘অগ্নিপরীক্ষা’ হতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ২০১৪ সালে এই ৫৯টি আসনের মধ্যে ৪৫টি দখল করেছিল বিজেপি। তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছিল ৮টি আসন। এছাড়াও কংগ্রেস পেয়েছিল ২টি এবং সপা ও এলজেপি একটি করে আসন পেয়েছিল। গতবারের সেই পারফর্ম্যান্স বিজেপি এবারও ধরে রাখতে পারে কি না, তা জানতে ২৩ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।