কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
খাদ্যমন্ত্রী এদিন রেশন ডিলারদের কমিশন বাড়ানোর আশ্বাসও দিয়েছেন। কমিশন কতটা বাড়বে, সেটা অবশ্য এখনও চূড়ান্ত হয়নি। রেশন ডিলাররা এখন কুইন্টাল প্রতি ৫৪ টাকা কমিশন পান। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি, আড়াইশো টাকা কমিশনের হার ধার্য করতে হবে। খাদ্য দপ্তরের কর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, কমিশন বাড়লেও এতটা দেওয়া সম্ভব নয়। রাজ্যের নিজস্ব তহবিলের উপর অতিরিক্ত চাপ না বাড়িয়ে কমিশন বৃদ্ধি করা হবে।
খাদ্য দপ্তরের দাবি, ই-পিওএস যন্ত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন পরিষেবা দিয়ে ডিলাররা মাসে ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার করতে পারবেন। ডিলার সংগঠন অবশ্য এতটা আশাবাদী নয়। তাঁদের বক্তব্য, এখন বাড়িতে বসে কম্পিউটারের মাধমে মানুষ এই সব অনলাইন পরিষেবা পান। তাঁরা কেন এর জন্য রেশন দোকানে এসে খরচা করে পরিষেবা নেবেন? খাদ্য দপ্তরের পাল্টা যুক্তি, অনেকেই অনলাইনে এই সব পরিষেবা নিজেরা নিতে পারেন না। তাঁরা আসবেন। তাছাড়া প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় এই অনলাইন পরিষেবা নিতে ভালো সাড়া মিলবে। এই পরিষেবাগুলি যে রেশন দোকান থেকে পাওয়া যাবে, সেটা বোর্ড লাগিয়ে জানিয়ে দিতে হবে।
এর পাশাপাশি সব জেলার রেশন দোকানে একটি শপিং মল চেইন সংস্থার মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ চালু করতে চাইছে খাদ্য দপ্তর। দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলিতে এটা চালু করার পর ভালো সাড়া মিলছে বলে খাদ্য দপ্তরের দাবি। এর মাধ্যমে রেশন ডিলারদের আয় বাড়বে বলে দপ্তর মনে করছে।
এইসব আশ্বাসের পরেও কিন্তু রেশন ডিলারদের সংগঠন কমিশন বাড়ানোর দাবি থেকে সরতে চাইছে না। আগামী সোমবার পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য নজরুল মঞ্চে ফেডারেশন বিশেষ বৈঠক ডেকেছে। সেখানে খাদ্যমন্ত্রীকে ডাকা হয়েছে। তিনি সরাসরি রেশন ডিলারদের ই-পিওএস যন্ত্র চালু করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলবেন। ডিলাররাও তাঁদের সমস্যার কথা জানাবেন। রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পটি হাতে নেয়। রাজ্য সরকারও মনে করছে, এতে রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আসবে। বিশ্বম্ভরবাবু জানিয়েছেন, যন্ত্র চালু করতে তাঁদের আপত্তি নেই। কিন্ত ডিলারদের সংসার চালানোর মতো আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে। ইপিওএস যন্ত্র চালু করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও রাজ্যকে চাপ দেওয়া হচ্ছে।