কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
কে এই প্রশান্ত কিশোর? একসময়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের কর্মী প্রশান্ত প্রথম নজরে আসেন ২০১১ সালে। তখন তাঁর বয়স মাত্র ২৫। গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক নীতি নির্ধারক হিসেবে তাঁকে নিয়োগ করেছিল বিজেপি। প্রবল প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়ার মধ্যেও তাঁর সংস্থা সিটিজেনস ফর অ্যাকাউন্টেবল গভর্ন্যান্স-এর নানা পরিকল্পনা রূপায়ণ করে তৃতীয়বারের জন্য গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেছিলেন নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি। এরপর ২০১৪ সালে দেশজুড়ে মোদি হাওয়া তৈরির কারিগর হিসেবে আত্মপ্রকাশ হয় প্রশান্তের। সঙ্গে তাঁর নতুন সংস্থা আইপিএকে। হর হর মোদি/ ঘর ঘর মোদি— আপামর জনতার মন ছুঁয়ে যাওয়া সেই স্লোগান বানিয়েছিলেন তিনিই। একইসঙ্গে বিজেপি তথা মোদির প্রচার কৌশলও নির্ধারণ করেছিলেন। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তাঁর তৈরি মন কি বাত, চায়ে পে চর্চার মতো টিজার ব্যবহার করে জনপ্রিয়তা বাড়ে মোদির। ২০১৪’র সেই সাফল্যই প্রশান্তকে বানায় ‘ভোটগুরু’। এরপর প্রশান্তের হাত ধরে সাফল্যের সঙ্গে নির্বাচনী বৈতরণি পার হন নীতীশ-লালু, পাঞ্জাবের অমরিন্দর সিং এবং চলতি বছরে অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেসের জগন্মোহন রেড্ডি। ওয়াইএসআরের জন্য প্রশান্তের নির্বাচনী ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছেন এক কোটি মানুষ, যা এদেশে রেকর্ড। এহেন প্রশান্ত গেরুয়া ঝড় থামিয়ে কীভাবে মা-মাটি-মানুষের সরকারকে ফের প্রতিষ্ঠা দেন, সেটাই এখন দেখার।