কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
এই প্রথম তৃণমূলের হাত থেকে একটি পুরসভা দখল করেছে বিজেপি। আরও কিছু কাউন্সিলার ও চেয়ারম্যান চলে যেতে পারেন বলে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দল ভাঙানোর প্রক্রিয়া জোরদার চলছে। তারা যোগদান মেলা কর্মসূচি নিয়েছে। ইতিমধ্যে বারাকপুর মহকুমায় ভাটপাড়া পুরসভায় ভোটাভুটি করে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। হালিশহর পুরসভায় বিজেপি পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করছে। আরও কয়েকটি পুরসভায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে তৃণমল। বেশ কিছু পুরসভার দিকে বিশেষ নজর রয়েছে বিজেপি নেতাদের। তাই কাউন্সিলারদের বার্তা দিতেই ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, আগামী বছর রাজ্যে কলকাতা, বিধাননগর, হাওড়া পুরনিগম সহ ১০০টি পুরসভার ভোট রয়েছে। তার আগে যাতে বিজেপি তৃণমূলের ঘরে থাবা বসাতে না পারে, তার জন্যই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারের লোকসভা ভোটের ফলাফল দেখে ২০০৪ সালের মতো ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু করেছেন। দু’দফায় কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠক করেছেন দলের বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে। এমনকী জেলা ধরে ধরেও বৈঠকে বসছেন। শুক্রবার হুগলি জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন তৃণমূল ভবনে। এরপর যেসব জেলায় তৃণমূলের ফল খারাপ হয়েছে, সেই সব জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল সূত্রের খবর, আগামী দিনে কী কী করা উচিত, মানুষের কাছে কোন কোন ইস্যু নিয়ে যাওয়া উচিত, তাও তুলে ধরবেন তূণমূল নেত্রী। তাঁর নির্দেশ, মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। মানুষের আপদে বিপদে পাশে দাঁড়ান। সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ মানুষকে বোঝাতে হবে। মানুষের জন্য যে সমস্ত প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তার সুবিধা যেন ঠিকমতো দেওয়া হয়, তার নির্দেশ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেক সময় অভিযোগ ওঠে, অনেক প্রকল্প থেকে কাটমানি খাচ্ছেন স্থানীয় নেতারা। এ ব্যাপারে কাউন্সিলারদের সতর্ক করা হবে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।