কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারির জবাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পাল্টা বলেন, বিজয় মিছিল করবই। জোর করে আটকাতে গেলে চরম সংঘাতের পথে যাবে দল। এখনও কোথাও সেভাবে বিজয় মিছিল হয়নি। শীঘ্রই জেলায় জেলায় বিজয় মিছিল করা হবে। তিনি বলেন, মেদিনীপুরেও বিজয় মিছিল হবে। বিজয় মিছিলের কথা প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হবে। তারপরেও রুখতে গেলে প্রতিরোধ হবেই। মুখ্যমন্ত্রী যা আচরণ করছেন, তা চরম স্বৈরতান্ত্রিক এবং একনায়কতন্ত্রের সমতুল। বিজয় মিছিল রুখলে মানুষ তা কড়ায়গন্ডায় মিটিয়ে দেবে।
খুন হওয়া তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেরিয়ে মমতা বলেন, মেদিনীপুরের মোহনপুর গ্রাম থেকে তিনি আজকেই ছবি পেয়েছেন। সেখানে বিজয় মিছিলের নামে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। প্রায় একই চিত্র দেখা গিয়েছে কেশপুর, হুগলি, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়াতেও। পুলিসকে নির্দেশের সুরে তিনি বলেন, আর কোথাও কোনও বিজয় মিছিল করা যাবে না। ২৩ মে ভোটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। আজ ৬ জুন, ১৪ দিন হয়ে গেল। অনেক হয়েছে, আর বিজয় মিছিল নয়। মমতা বলেন, বিজেপির থেকে তৃণমূল বেশি আসন পেয়েছে, তাহলে বিজয় মিছিল তো তাদের আগে করা উচিত। কিন্তু, তা তো হয়নি। একই সঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের শান্তি মিছিল এবং জনসংযোগ কর্মসূচি চলবে। বিজয় মিছিলের জন্য কোনও নেতা চাপ দিলে পুলিসকে ব্যবস্থা নিতেও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, নিহত তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী তাঁকে জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী শুধু বলেছিলেন শপথগ্রহণের ছবি বাড়ি থেকে একটু দূরে গিয়ে দেখানো হোক। এটাই ওর অপরাধ। এদিনই তিনি এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে দিয়েছেন। তিনি বলেন, কাউকে টাকা দিয়ে বাইরে থেকে এনে অন্য কাউকে খুন করিয়ে দেওয়া সহজ। কিন্তু, এই ঘটনার পিছনে মূল ষড়যন্ত্রকারী কে, সেটা খুঁজে বার করতে হবে। ৪২টি আসনের মধ্যে ওরা ১৮টি পেয়েছে। জোচ্চুরি, লুকোচুরি করে পেয়েছে সবাই জানে। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে পেয়েছে। সবই আস্তে আস্তে প্রকাশ্যে আসবে। ২০ লক্ষ ইভিএমের হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি নিজেরাই নিজেদের কর্মীদের খুন করছে। আর দিল্লিতে এক শ্রেণীর মিডিয়াকে দিয়ে বলাচ্ছে, তাদের এত কর্মী খুন হয়েছে। সন্ত্রাসের উলঙ্গ চিতা জ্বলছে। বাংলা সন্ত্রাসের জায়গা নয়। মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যের পাল্টা তিনি বলেন, সাংবিধানিক পদে থেকে এরকম কথা বলা যায় না। তিনি ধিক্কার জানান ওনার বক্তব্যের। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মৃতের পরিবারের আর্থিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন। দলীয় সূত্রের খবর, দুই মেয়েকেই সরকারি চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। যদিও পরিবারের কেউ এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলতে চাননি। এদিকে, নিহতের পরিবারের তরফ থেকে অভিযুক্তরা ফোনে হুমকি দিচ্ছে বলে এদিন একটি অভিযোগ দায়ের হয় নিমতা থানায়।