কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরপরই নরেন্দ্র মোদির সরকার কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির খসড়া প্রকাশ করে। সেখানে হিন্দিভাষাকে রাষ্ট্রীয় স্তরে বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছিল। তাকে ঘিরে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি প্রতিবাদ জানায়। বাংলা সহ অহিন্দিভাষী রাজ্যগুলিও সেই প্রতিবাদে শামিল হতে থাকে। জোর করে হিন্দুত্ব চাপানোর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিতর্কের ঝড় বইতে থাকে। অবশেষে কেন্দ্র পিছু হটে। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক আপাতত হিন্দি বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসে। এই বিতর্কের প্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়ের একটি মন্তব্যকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। ‘বাংলার মেয়েরা বার ডান্সার হতে পারলে হিন্দি শিখতে পারে না?’— সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রশ্ন তুলে হিন্দি চালুর ব্যাপারে সওয়াল করেন তথাগতবাবু। বঙ্গ জননী বাহিনীর শীর্ষ নেত্রী সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারের মতে, শুধু বাংলাকেই নয়, বাংলার মেয়েদেরও অপমান করেছেন তিনি। তাঁর মতে, রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক পদে থেকে তিনি যেসব মন্তব্য করছেন, তা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জার। তথাগতবাবু আরএসএসের ভাষায় কথা বলেছেন বলেই মনে করেন কাকলি। জানালেন, তাঁদের সংগঠন গত সপ্তাহে তৈরি হয়েছে। সামাজিক সংগঠন হিসেবে বাংলা ও বাঙালি নারীর পক্ষে দাঁড়ানোই তাঁদের প্রধান লক্ষ্য।
রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দাবি, কে কোন পেশায় যাবেন, কী খাবেন, সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু একজন রাজ্যপাল একটা পেশাকে যেভাবে কটাক্ষ করেছেন, তা বাংলার মেয়েদের অপমানের শামিল। একইভাবে মন্ত্রী শশি পাঁজাও মেঘালয়ের রাজ্যপালকেই নিশানা করেছেন। কাকলি বলেন, রাজ্যপাল নিজেই আরএসএসের সমর্থক। ওরা চায়, মেয়েরা শুধু ঘর সংসার করুক আর সন্তানের জন্ম দিক। মেয়েদের সম্মান করতে চায়না। বাংলার সংস্কৃতিকে অবজ্ঞা করে। বাঙালির ঐতিহ্য মেনে শঙ্খ বাজিয়ে এদিন হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ করেছেন কাকলিরা। তিনি বলেন, বিজেপি আমাদের অধার্মিক সাজাতে চায়। চলতি জয় শ্রীরাম ধ্বনি বিতর্কের জের টেনে কাকলির দাবি, পুরুষোত্তম রামকে আমরা শ্রদ্ধা করি। বিজেপির কাছে আমাদের রামের আরাধনা শিখতে হবে না। ওরা মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিচ্ছে। রাজনীতিতে ধর্ম মিশিয়ে ফেলছে। আমরা পাল্টা জাতীয়তাবাদী স্লোগান দিচ্ছি, জয় হিন্দ, জয় বাংলা। আজ, শুক্রবার শ্যামবাজার পাঁচ মাথায় একই বিষয়ে অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছে বঙ্গ জননী বাহিনী।