পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
তবে কেবল মোদি সরকারই নয়, কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে বাম শিবিরের একই অভিযোগ রয়েছে এ রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধেও। তৃণমূল জমানায় বাংলায় এ পর্যন্ত ১৯২জন কৃষক ও খেতমজুর চাষের জন্য নেওয়া ধারের টাকা শোধ করতে এবং ন্যায্য দামে ফসল বেচতে না পারার কারণে আত্মঘাতী হয়েছে বলে সিপিএমের কৃষকসভা তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়ে দাবি করছে। তবে গ্রামবাংলায় দলের নড়বড়ে জনসমর্থনের পালে হাওয়া ঘোরাতে কৃষক আত্মহত্যার বিষয়কে রাজ্যে লোকসভা ভোটের অন্যতম ইস্যু করতে চাইছে সিপিএম নেতৃত্ব। আর সেই লক্ষ্যে এবার আত্মঘাতী চাষি পরিবারের সদস্যদের কলকাতায় এনে জনসভা করার পরিকল্পনা করেছে কৃষকসভা। পরিবারের সদস্যদের বক্তা তালিকায় রেখে কলকাতার মানুষের সামনে প্রকৃত বাস্তব তুলে ধরতে চায় তারা। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বামেদের ব্রিগেডের পর ওই মাসেই ধর্মতলায় এই সমাবেশ করার কথা ভেবেছে নেতৃত্ব। দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে আগামী ১৪ তারিখ সোমবার কৃষকসভার রাজ্য কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। জবাবে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার শুক্রবার বলেন, আমরা বারবার বলছি যে মোদি ও মমতায় কোনও ফারাক নেই। নীতি এবং পদক্ষেপের ক্ষেত্রে এই কথাটা কতটা সত্যি, তা কৃষক আত্মহত্যার মতো বিষয়েই টের পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের মুখ্যমন্ত্রী এ রাজ্যে কৃষক আত্মহত্যার কথা কিছুতেই মানতে চান না। আমাদের দাবির কথা বারবারই ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার তাই ওই পরিবারগুলির সদস্যদের সর্বাধিক সংখ্যায় এনে কলকাতার মানুষের সামনে আসল সত্য তুলে ধরব। কেন তাঁদের পরিবারের রোজগেরে মানুষগুলি আত্মঘাতী হয়েছেন, এবার তাঁরাই সে কথা শহরের বুকে এসে বলবেন। তারপরও যদি রাজ্য সরকার আত্মহত্যার কথা অস্বীকার করে চলে তাহলে মানুষই তার বিচার করবে।