যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতি সহ একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছিল তৃণমূলের। তবে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ন’টির মধ্যে আটটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিয়েছে তৃণমূল। বিজেপির হাত থেকে ৯-৭ ব্যবধানে লালুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিয়েছিল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সেই লালুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির এক জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য শক্তিপদ শিট যোগ দিলেন তৃণমূলে। একই সঙ্গে কুসুমপুর ও নছিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্দল হিসেবে জয়ী ২ পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূলে।
কেশিয়াড়ি ব্লকের নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান তথা রাজ্য মহিলা তৃণমূলের সম্পাদিকা কল্পনা শিট বলেন, আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর ওই এলাকাগুলিতে গিয়ে বুঝতে পারি, মানুষ কীভাবে বিজেপির ওপর ক্ষুব্ধ। তাই এদিন লালুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সুন্দরাড় বুথের জয়ী বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য শক্তিপদ শিট সহ প্রায় ৩০০ জন তৃণমূলে যোগদান করেন। একই সঙ্গে কুসুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য ভদ্র হেমব্রম ও নছিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জয়ী নির্দল পঞ্চায়েত সদস্যা পিউ ঘোষ তৃণমূলে যোগ দেন।
বিজেপির কেশিয়াড়ির ৩ মণ্ডলের সভাপতি সন্দীপ পাল বলেন, শক্তিপদ অনেকদিন আগেই তৃণমূলে চলে গিয়েছিল। তার তৃণমূলে যোগদানে আমাদের দলের তেমন কোনও ক্ষতি হবে না। আমরা ওই বুথে ফের জিতব।
জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, তিন দফা নির্বাচনের পর বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ হচ্ছে নেতাদের। আগামীতে জেলাজুড়ে বিভিন্ন ব্লকে এভাবেই এক এক করে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করবে।