হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
বছর কয়েক আগে জেলা পুলিস শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে অটোমেটিক ট্রাফিক সিস্টেম চালু করেছিল। গির্জার মোড়, রানিবাগান মোড়, বিবেকানন্দ স্ট্যাচু মোড় সহ শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে আধুনিকমানের সিগন্যালিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু, অজ্ঞাত কারণে মাস দু’য়েকের মধ্যেই সেই ব্যবস্থায় ইতি পড়ে। তারপরেও দীর্ঘদিন লাল, সবুজ ও হলুদ বাতিগুলি নির্দিষ্ট জায়গায় ঝুলতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু, পুলিসের পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগ না নেওয়ায় সেগুলি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অকেজো হয়ে পড়ে। পুলিসের অপরিকল্পিত উদ্যোগে সরকারি কোষাগারের কয়েক লক্ষ টাকা অপচয় হয় বলেই তখন অভিযোগ উঠেছিল। তবে, এবার জেলা পুলিস যেভাবে আঁটসাঁট হয়ে ময়দানে নেমেছে তাতে উদ্যোগ মাঝপথে থমকে যাবে না বলেই মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
কোনওরকম প্রচার না করেই মাসখানেক আগে বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া সমবায়িকার মোড়ে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল চালু করা হয়। প্রথম কয়েকদিন অনভ্যস্ত মানুষের এই পদ্ধতি মানিয়ে নিতে অসুবিধা হয়েছিল। তবে, দিন কয়েকের মধ্যেই সাধারণ মানুষ স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। এরপর কালেক্টর অফিস সংলগ্ন তথ্য দপ্তরের সামনে ঘটা করেই অটোমেটিক ট্রাফিক সিগন্যালের উদ্বোধন করা হয়। পুলিস সুপার নিজে উদ্বোধন করেন। শহরের অন্যতম ব্যস্ততম পয়েন্ট হিসেবে এখানে ৯০সেকেন্ডের টাইম-আউট সিস্টেম রয়েছে। যেখানে সমবায়িকার মোড়ে ট্রাফিকে মাত্র ৩০সেকেন্ড থামতে হচ্ছে। মুকেশ কুমার বলেন, স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় ধীরে ধীরে সময়ও ঠিক করা হবে। আপাতত শহরের মানুষ এই সিস্টেম মানতে শিখুক। তিনি আরও বলেন, কিছুদিনের মধ্যে রানিবাগান মোড়, কান্দি বাসস্ট্যান্ড, গার্লস কলেজ মোড়, বিদ্যাসাগর মোড় সহ শহরের আরও ১০টি জায়গায় স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল বসানো হচ্ছে। প্রতিটি সিগন্যালে একই সঙ্গে সিসি টিভি বসানো থাকছে। সিগন্যাল অমান্য করলেই ফাইনের আওতায় ফেলা হবে। এর বাইরেও যাঁরা সিগন্যাল ও পুলিসকে অগ্রাহ্য করে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন তাঁদের ক্ষেত্রে নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই বাড়িতে নোটিস পাঠানো হবে। খুব দ্রুত শহর ও শহরের বাইরে থেকে আসা সকলের ক্ষেত্রে অটোমেটিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।