হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
বৃহস্পতিবার সকালেই বাঁকুড়া পুলিস লাইন মাঠে কুচকাআওয়াজের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পুলিস সুপার কোটেশ্বর রাও। পাশাপাশি জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস তাঁর অফিসের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে রবীন্দ্রভবনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিষ্ণুপুরে গ্রামীণ হাটে মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা হয়। চেয়ারম্যান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বিষ্ণুপুর পুরসভার সামনে কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ওইদিন অফিসের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মহকুমা শাসক মানস মণ্ডল। পাশাপাশি রানিবাঁধ ব্লকের ছেঁদাপাথরে ক্ষুদিরাম বসুর গোপন আস্তানার কাছে আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন বাঁকুড়ার পুলিস সুপার কোটেশ্বর রাও। তিনি ছাড়াও রানিবাঁধের বিধায়ক জ্যোৎস্না মাণ্ডি, খাতড়ার এসডিপিও বিবেক বর্মা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানের পরে দুপুরে পুলিস লাইনে জেলা সাংবাদিক একাদশ ও পুলিস একাদশের প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। প্রীতি ম্যাচে সাংবাদিক একাদশ জয়ী হয়। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার খাতড়া মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় শাসক দল ও বিজেপির তরফে রাখীবন্ধন উৎসব পালন করা হয়।
বাঁকুড়ার পাশাপাশি পুরুলিয়াতেও যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস ও রাখীবন্ধন উৎসব পালিত হয়। পুরুলিয়ার গান্ধী পার্কে পতাকা উত্তোলন করেন জেলাশাসক রাহুল মজুমদার। তার পরেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সাংবাদিকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের একটি প্রীতি ফুটবল খেলা হয় বেলগুমা পুলিস লাইনের মাঠে। ওই খেলায় জেলাশাসক একাদশ জয়ী হয়। জেলাশাসক ও পুলিস সুপারও খেলায় অংশগ্রহণ করেন। সিধো কানহো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য দীপক কুমার কর।
এছাড়াও জেলার অন্যান্য কলেজ, স্কুলগুলিতেও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি একাধিক জায়গায় প্রভাতফেরিও হয়। অন্যদিকে, রাজনৈতিক দলগুলিও নিজেদের মতো করে স্বাধীনতা দিবস পালন করে। বুধবার রাত ১২টা সময় তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করেন জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত। জেলাজুড়ে পালিত হয় রাখীবন্ধন উৎসব। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিক, পুলিসরাও উৎসবে শামিল হন। রঘুনাথপুর মহকুমাতেও দিনটি পালন করা হয়।
বৃহস্পতিবার আরামবাগ মহকুমাজুড়েও স্বাধীনতা দিবস ও রাখীবন্ধন উৎসব পালিত হয়। বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ছাড়াও স্কুল, কলেজ, থানা, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও রাজনৈতিক দলগুলি এই দিনটি পালন করে। আরামবাগ শহরে তৃণমূল ও বিজেপির পক্ষ থেকে রাখীবন্ধন উৎসব পালন করা হয়। দুই দলের পক্ষ থেকেই পথ চলতি মানুষের হাতে রাখী পরিয়ে দেওয়া হয়। আরামবাগের কড়ুই গ্রামে বিজেপির একটি কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলনের সময় বিজেপির দলীয় পতাকাকে উপরে রেখে নীচে জাতীয় পতাকা তোলা হয়। ওই ঘটনায় বিতর্ক তৈরি হয়।