হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা স্টেশন সংলগ্ন তেঁতুলতলা এলাকার এসটিকেকে রোডের ধারে কংগ্রেস আমল থেকে মহকুমা লরি শ্রমিক ইউনিয়ন রয়েছে। সেই সময় কংগ্রেসের দখলে ছিল। পরে, বাম আমলে তা বামেদের দখলে থাকলেও তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর ইউনিয়নটি শাসক দলের দখলে চলে আসে। দীর্ঘদিন ধরেই শাসক দলের পরিচালনায় চলছে ইউনিয়ন। অভিযোগ, সম্প্রতি ইউনিয়নের কয়েকজন সদস্যকে অফিস থেকে তুলে নিয়ে যায় আরপিএফ। কিছু সদস্যের দাবি, সেই সময় ইউনিয়নের নেতৃত্ব কাউকে পাশে পাননি। তাতেই কিছু শ্রমিক বিরূপ হয়ে বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করে। শুক্রবার ইউনিয়ন অফিস ঘিরে বিজেপি ঝান্ডা লাগানো হয়। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, লরি ইউনিয়নের অধিকাংশ সদস্য তাদের দলকে সমর্থন করে দলে যোগদান করেছেন। ফলে তারা অফিস দখল নেয়। এদিকে অফিস দখলের খবর পৌঁছয় শাসক দলের নেতাদের কাছে। বিকেল ৪টে নাগাদ কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল নেতা দেবপ্রসাদ বাগ সহ অন্যান্য তৃণমূল কাউন্সিলার ও দলের নেতৃত্ব এসে অফিস নিজেদের দখল নেয়। তবে, এনিয়ে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
আইএনটিটিইউসি পরিচালিত কালনা মহকুমা লরি শ্রমিক ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় বলেন, কয়েকটা দিন ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে অফিসে যেতে পারিনি। সেই সুযোগে বিজেপি আমাদের সংগঠনের কয়েকজনের মগজ ধোলাই করে নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা করে। কালনায় মহষিমর্দিনী পুজো চলছে। সবাই সেইদিকে ব্যস্ত। সেই সুযোগে কয়েকজন বিজেপির দলীয় পতাকা লাগায়। আমরা গিয়ে তাঁদের বোঝালে তাঁরা আমাদের সঙ্গে আছেন বলে জানিয়েছেন। তাঁরাই বিজেপির পতাকা খুলে নেয়।
বিজেপির জেলা সহ সভাপতি সুশান্ত পাণ্ডে বলেন, লরি ইউনিয়নের অধিকাংশ আমাদের সদস্য। তাঁরাই ইউনিয়ন অফিসে বিজেপির পতাকা লাগায়। অফিস আমাদের দখলে আসে। বিকেলে শাসক দলের কয়েকজন এসে আমাদের কর্মীদের হুমকি দিয়ে পতাকা খুলে ফেলে।