হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে ওই পরিবারের সদস্যরা মাঠে কাজ করছিলেন। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড়, বৃষ্টি শুরু হয়। সেই সময় বজ্রপাতে চারজনই জখম হন। স্থানীয় চাষিরা তা দেখতে পেয়ে তাঁদের মাঠ থেকে উদ্ধার করেন। পরে তাঁদের রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রঘুনাথপুর থানায় একই দিনে মা ও মেয়ে সহ মোট পাঁচজনের বজ্রপাতে মৃত্যু হয়। গত রবিবারও বাজ পড়ে পুরুলিয়া জেলায় মোট ন’জনের মৃত্যু হয়। জখম হন ছ’জন। তাঁদের অধিকাংশজনই মাঠে কাজ করছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ফের এদিন মাঠে কাজ করার সময় তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগে রয়েছেন বিভিন্ন এলাকার চাষি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও। চিন্তিত প্রশাসনও। বিষয়টি নিয়ে পাড়ার বিধায়ক উমাপদ বাউরি দুঃখপ্রকাশ করেন। তিনি বলেন, স্বজনহারাদের পরিবারের পাশে রয়েছে সরকার। আমরা ওই পরিবারের পাশে থাকব।
রঘুনাথপুর-২বিজেপি সভাপতি অসীম চট্টোপাধ্যায় বলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ব্লক এলাকায় বারবার এই ধরনের ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। প্রশাসনের কাছে দাবি রাখব, ব্লক এলাকায় কেন এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে তার অনুসন্ধান করা হোক। বিজেপি দল শোকাহত পরিবারের পাশে রয়েছে। বিষয়টি সংসদ সদস্য জ্যোতির্ময় সিং সর্দারকে জানানো হয়েছে।
এবিষয়ে মহকুমা শাসক আকাঙ্ক্ষা ভাস্কর বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পরিবারটিকে সাহায্য করা হবে। বারবার এধরনের ঘটনা ঘটায় আমরাও চিন্তিত। ঘটনা রোধ করার জন্য বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সচেতনাতামূলক প্রচার করা হবে। মেঘ দেখলে যাতে কেউ বাইরে না বের হন।