হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাধীনতা দিবসে উদ্যো্ক্তাদের পক্ষ থেকে একটি বড় ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। এই খেলায় প্রতিবছরই নতুন কিছু চমক থাকে। এর আগে আলিপুর সংশোধনাগারের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের পাশাপাশি মহিলাদের ফুটবল ম্যা চও হয়েছে। এবার উদ্যোক্তাদের নয়া চমক ছিল দৃষ্টিহীনদের ফুটবল ম্যাচ। জানা গিয়েছে, এদিন পাঁচজন করে খেলোয়াড় দু’টি দলে ভাগ হয়ে খেলায় অংশ নেয়। দৃষ্টিহীন খেলোয়াড়দের খেলার সময় চোখে পট্টি বেঁধে দেওয়া হয়। তবে, পাঁচজনের দলে থাকা গোলকিপার অবশ্য স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন ছিলেন। এছাড়া রেফারিও ছিলেন স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন। তবে, খেলোয়াড়রা যাতে বলের অবস্থান বুঝতে পারেন সেজন্যব বলের ভিতরে ভরা ছিল ঝুমঝুমি। তাঁদের একে অপরের মধ্যে যাতে ধাক্কা না লাগে, তারজন্য নিজের দলের খেলোয়াড়দের অবস্থান বুঝতে মুখে সাঙ্কেতিক আওয়াজ করেন। ৪০ মিটার লম্বা ও ২০ মিটার চাওড়া মাঠে তাঁরা অনায়াসে ফুটবল খেলছিলেন। তবে, খেলোয়াড়রা সকলেই পড়ুয়া বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যেব কেউ রবীন্দ্রভারতী ইউনিভার্সিটি থেকে এমএ করছেন। আবার কেউ যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে এমফিল করছেন। তাঁরা সকলেই কলকাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য ব্লাইন্ড অফ বেঙ্গল সংস্থার খেলোয়াড়।
সংস্থার সভাপতি মাধাই কুণ্ডু বলেন, আমরা রাজ্যেনর একমাত্র সরকার অনুমোদিত সংস্থা, যারা দৃষ্টিহীনদের ফুটবল খেলার প্রশিক্ষণ দিই। কয়েকমাস আগে বেঙ্গালুরুতে ন্যাশনাল টুর্নামেন্টে আমাদের দল অংশ নেয়। এছাড়া জাতীয় দলে সিলেকশনের জন্য আমাদের দলের তিনজন খেলোয়াড় ডাক পেয়েছেন।
গুসকরা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত খেলায় উপস্থিত ছিলেন আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার, ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল, গুসকরার বিদায়ী চেয়ারম্যািন বুর্দ্ধেন্দু রায়, শহর তৃণমূলের সভাপতি কুশল মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।