হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
বর্ধমান শহরে একটি পশু প্রেমীদের সংগঠন অন্যরকম স্বাধীনতা দিবসের আয়োজন করেছিল। পথে পথে ঘুরে বেড়ানো কুকুর, বিড়াল, গোরুদের জন্য পাঁচ হাজার রসগোল্লা তৈরি করেছিল তারা। তারপর সংগঠনের পশু প্রেমীরা গোটা শহরে ওই রসগোল্লা বিতরণ করেন। পশুদেরও মাটির প্লেটে রসগোল্লা দেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছিল, ‘আমরাও স্বাধীনতা চাই’। সংগঠনের সভাপতি অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়েছে। তাই মানুষেরা যদি স্বাধীনতা ভোগ করেন, তাহলে এই পশুরাও কেন স্বাধীনতা পাবে না? সেই কারণেই আমরা তাদের মিষ্টিমুখ করিয়েছি। অন্যদিকে, বর্ধমানের অপর একটি সংগঠন ১০টি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে রওনা দিয়েছিল বিপ্লবীদের ভিটে দেখানোর জন্য। বিপ্লবী রাসবিহারী বসু, বটুকেশ্বর দত্ত ও রাসবিহারী ঘোষের পৈতৃক বাড়ি দেখানো হয়। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে শোনানো হয়, তাঁদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বর্ধমান শহরে জেলাশাসকের অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলাশাসক বিজয় ভারতী। অতিরিক্ত জেলশাসকেরা সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিাকরিকেরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পতাকা উত্তোলনের পর বর্ধমানের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে একটি সম্প্রীতির বাস্কেট বলও খেলা হয়। সেখানে জেলশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক সকলেই অংশ নিয়েছিলেন। অন্যদিকে, বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাইস্কুলে রাখী বন্ধনের একটি বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। পূর্ব বর্ধমানের জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া উদ্বোধন করেন। সেখানে সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডুও উপস্থিত ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে সভাধিপতি শম্পাদেবী দেবু টুডুর হাতে রাখীও পরান।
বৃহস্পতিবার আসানসোলের জেলাশাসকের দপ্তরে পতাকা উত্তোলন করেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি। মন্ত্রী মলয় ঘটক, আসানসোলের মেয়র তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারী বিভিন্ন জায়গায় পতাকা উত্তোলন করেন। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাখীবন্ধন উৎসবও শহরজুড়ে পালিত হয়। পথ চলতি মানুষকে রাখী বাঁধেন পুলিস প্রশাসন ও তৃণমূল কর্মীরা। দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক অনির্বাণ কোলে নিজের দপ্তরে পতাকা উত্তোলন করেন। পুলিসের পক্ষ থেকে দুর্গাপুর স্টিল মার্কেট এলাকায় বাইক আরোহীদের রাখী বাঁধা হয় এবং সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ নিয়ে সচেতন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা, এসিপি আরিস বিলাল ও এসিপি ট্রাফিক শাশ্বতী শ্বেতা সামন্ত উপস্থিত ছিলেন। দুর্গাপুরের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের নিয়ে ওই এলাকায় পথ চলতি মানুষের হাতে রাখী বাঁধা হয়।
আউশগ্রামেও সাড়ম্বরে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়। বৃহস্পতিবার আউশগ্রাম-১ ব্লক অফিসে গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের এনসিসি বিভাগের পড়ুয়ারা কুচকাওয়াজে অংশ নেয়। তারপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিডিও চিত্তজিৎ বসু।
ওইদিন কালনা মহকুমা শাসকের দপ্তরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মহকুমা শাসক নীতেশ ঢালি। কালনায় গাছকে রাখী পরিয়ে গাছ বাঁচাও, প্রাণ বাঁচাও এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। কালনা মহকুমা শাসক দপ্তরের উদ্যোগে সাংবাদিক একাদশ ও এসডিও একাদশের মধ্যে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচও অনুষ্ঠিত হয়।
কাটোয়ার মহকুমা শাসকের দপ্তরে পতাকা উত্তোলন করেন মহকুমা শাসক সৌমেন পাল। দেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার কাটোয়াতেও মহকুমা পুলিস-প্রশাসন একাদশ বনাম সাংবাদিক একাদশ এক সম্প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল।