হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুলবাবু বলেন, দক্ষিণ মেন্দাবাড়ি গ্রামে বুড়ি বাসরা নদীর ভাঙন ভয়াবহ আকার নিয়েছে। বারবার বলা সত্বেও নদী ভাঙন রোধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, সম্প্রতি গ্রামবাসীরা আমার কাছে এই ব্যাপারে অভিযোগ করেন। তাই শুক্রবার বুড়ি বাসরার ওই ভাঙন খতিয়ে দেখে সেচদপ্তরের কাছে একটি রিপোর্ট দিয়েছি। সেচদপ্তরকে দ্রুত ওই ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতেও বলেছি। দ্রুত ভাঙন ঠেকাতে না পারলে বুড়ি বাসরার গ্রাসে বিঘার পর বিঘা আবাদি জমি নদীগর্ভে তলিয়ে যাবে।
সেচদপ্তরের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার নীরজ সিং বলেন, মৃদুলবাবু দক্ষিণ মেন্দাবাড়িতে বুড়ি বাসরার ভাঙনের কথা জানিয়েছেন। জেলায় নদী ভাঙন প্রতিরোধে রাজ্য থেকে এখনও কোন ফান্ড মেলেনি। ফান্ড না এলেও কোনভাবে অর্থ জোগাড় করে বুড়ি বাসরার ভাঙন ঠেকানোর চেষ্ট করা হচ্ছে। তার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে।
জল নামতেই কালচিনির মেন্দাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ মেন্দাবাড়ি গ্রামের ১১/১৯৭ পার্টে প্রায় ৫০ মিটার অসংরক্ষিত এলাকাজুড়ে বুড়ি বাসরার ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। নদী ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে এলাকার বিঘার পর বিঘা চাষের জমি। বুড়ি বাসরার গর্ভে একটু একটু করে ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের বাঁশ ও সুপারি বাগানও।
মেন্দাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের মনা রাভার বাড়িও দক্ষিণ মেন্দাবাড়ি গ্রামেই। পঞ্চায়েত প্রধান মনাবাবুর জমি ও বাঁশ বাগানও তলিয়ে গিয়েছে পাহাড়ি খরস্রোতা বুড়ি বাসরার এই আগ্রাসনে। নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দা সুশীল বর্মন, নির্মল বর্মন, পাপড়ি খেড়িয়া, অধীর বর্মন ও ফণী বর্মন বলেন, জল নামতেই গত দু’সপ্তাহ ধরে বুড়ি বাসরার ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনকে বারবার বলার পরেও সেচদপ্তর নদী ভাঙনে কোনও আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে নদী ভাঙন রোধে তৃণমূলের জেলা সভাপতির দ্বারস্থ হতে হয়েছে আমাদের। এরপরেও ভাঙন প্রতিরোধে কাজ না হলে আমরা আন্দোলনে নামব। এদিন এই বিষয়ে জানতে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনাবাবুকে একাধিকবার টেলিফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।