হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
বালুরঘাটের সংসদ সদস্য বিজেপি’র সুকান্ত মজুমদার বলেন, ১৮ আগস্ট নিয়ে অবশ্যই জেলায় স্মৃতিসৌধ স্থাপন করা উচিত। নাগরিক সমাজের তরফে এনিয়ে আমার কাছে কোনও সাহায্য দরকার হলে আমি তাদের পাশে আছি। প্রয়োজনে আমার সংসদ তহবিল থেকে স্মৃতিসৌধ স্থাপনের জন্য অর্থ বরাদ্দ করব। জেলাবাসীর সকলের ১৮ আগস্টের ইতিহাস জানা উচিত। ইতিহাসবিদ তথা শিক্ষক সমিত ঘোষ, কৌশিক বিশ্বাস বলেন, স্মৃতিসৌধ স্থাপনের পাশাপাশি সরকারিভাবে এই দিনটি প্রশাসনের তরফে পালন করা উচিত। সরকারিভাবে এই দিনটি পালন করা হয় না। স্মৃতিসৌধ যাতে স্থাপন করা হয় তার জন্য আমরা দ্রুত আন্দোলন শুরু করব। বালুরঘাটের বাসিন্দা তথা চিকিৎসক সৌরভ কুণ্ডু বলেন, সেসময়ের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের এখনও প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয়নি। আমাদের জেলা যে ১৮ আগস্ট স্বাধীনতা পেয়েছিল তা আজ অনেকের অজানা। প্রশাসনের উচিত জেলায় একটি স্মৃতিসৌধ স্থাপন করে পুরো ইতিহাস তুলে ধরা।
১৫ আগষ্ট যখন সারা দেশ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়ে আনন্দে মেতে ওঠে সেদিন বালুরঘাট ও তার পাশ্ববর্তী এলাকা দখলে চলে যায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানের অধীনে। দেশ স্বাধীনের পরেও জেলাবাসীর কাছে বিষয়টি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আদতে তৎকালীন দিনাজপুর জেলা ভারতের মধ্যে না পাকিস্তানের মধ্যে তা নিয়েও জল্পনা ছড়িয়েছিল। ১৭ আগস্ট পাকিস্তানের সেনারা বালুরঘাট ছেড়ে চলে যান। ১৮ আগস্ট বালুরঘাটের হাইস্কুল মাঠে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা করে উৎসবে মেতে ওঠেন বালুরঘাট বাসীরা। সেদিনের পর থেকে আজ পর্যন্ত দিনটিতে বালুরঘাট হাইস্কুল মাঠে জাতীয় পতকা তোলা হয়। সেদিন বালুরঘাটের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এবছরও ১৮ আগস্ট হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠান করে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে। পাশাপাশি বাসিন্দারা হাইস্কুল মাঠের এক প্রান্তে স্মৃতিসৌধ স্থাপনের দাবি তুলেছেন।