উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
রায় নিয়ে হইচইয়ে দেশজুড়ে বৃদ্ধি পেতে পারে উত্তেজনা। তাই গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ, কোনও পার্টি কার্যালয়ে অযথা উচ্ছ্বাস দেখানো চলবে না। যার জেরে আজ সকাল সাড়ে ১০টার সময় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ যখন অযোধ্যা মামলার রায় শোনাচ্ছে, বিজেপি, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) কিংবা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) মতো কার্যালয়গুলি তখন আদ্যন্ত উচ্ছ্বাসহীন।
এদিন সকালে নয়াদিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল, সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কিছু ভিড় ছাড়া মোটের উপর পার্টি অফিস ফাঁকা। এমনকী শীর্ষ নেতৃত্বের একটি বড় অংশও পার্টি অফিসে অনুপস্থিত। যাঁরা আছেন, তাঁরা ব্যস্ত টেলিভিশনের নিউজ চ্যানেলে চোখ বোলাতে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক নেতা বললেন, ‘শুধু দিল্লিতেই নয়, আপনি যদি পশ্চিমবঙ্গে যান, বা গুজরাতে, কোনও দলীয় পার্টি অফিসেই নেতা-কর্মী, সমর্থকদের উচ্ছ্বাসের ছবি দেখবেন না। স্পষ্ট নিদের্শ রয়েছে, কোনওরকম হইচই করা যাবে না। সারা দেশে উত্তেজনা ছড়াতে পারে। সেই দায় কে নেবে?’ নয়াদিল্লির ঝান্ডেওয়ালাতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের কার্যালয় কেশবকুঞ্জেও উচ্ছ্বাসের বিন্দুমাত্র ছবি ধরা পড়েনি।
আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বেলা ১টার সময় অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছিলেন এদিন। নেতা-কর্মী এবং সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ভিড় তাই প্রত্যাশিতই ছিল কেশবকুঞ্জে। কিন্তু রায় নিয়ে বাইরে উচ্ছ্বাস দেখানোয় কড়া নিষেধাজ্ঞা ছিল আরএসএস নেতৃত্বেরও। নর্থ এভিনিউয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যালয়েও উচ্ছ্বাসের নামমাত্রও চোখে পড়েনি এদিন। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, কোনওরকম গোলমালের আশঙ্কায় খোদ নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা যেখানে বারবার বার্তা দিচ্ছেন, এই রায় কারও জয় পরাজয়ের ব্যাপার নয়, তখন কর্মী-সমর্থকেরা উচ্ছ্বাস দেখালে এটাই প্রতিষ্ঠিত হতে বাধ্য, বিজেপি বা গেরুয়া শিবির এই রায়কে নিজেদের জয় হিসেবে দেখছে। ফলে সচেতনভাবেই এ ধরনের কোনও কর্মসূচি এড়িয়ে চলছে গেরুয়া শিবির।