উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার অযোধ্যার রায়দান হবে জানতে পেরে আজ সকাল পৌনে দশটায় তড়িঘড়ি কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। ১০ জনপথে ওই ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে অযোধ্যার রায়দানের খবরে টিভিতে চোখ রাখেন সদস্যরা। রায় জেনে সোনিয়া গান্ধী দলকে নির্দেশ দেন, এই রায়কে স্বাগত জানানোর বার্তাই দিতে হবে। সেই মতো বৈঠকের পর দলের লোকসভার নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়কে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি গ্রহণ করছে এবং সম্মান জানাচ্ছে।
রাহুল গান্ধী ট্যুইট করে বলেছেন, ‘অযোধ্যা মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সম্মান করে সকলকে সদ্ভাব বজায় রাখার আবেদন করছি। এটা সব ভারতীয়ের বন্ধুত্ব, বিশ্বাস এবং প্রেম বজায় রাখার সময়।’ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আগে এদিন সকালেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ট্যুইট করে সকলের মধ্যে সদ্ভাব বজায় রাখার আবেদন করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘রায় যাই হোক সকলের মধ্যে সদ্ভাবের পরম্পরা বজায় রাখতে হবে। এটা মহাত্মা গান্ধীর দেশ। যেখানে অহিংসা আর সৌহার্দ্য বজায় রাখাই আমাদের কর্তব্য।’
তবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কিছু অংশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম। নাম না করে কেন্দ্রের শাসক দলকে খোঁচা দিতেও ছাড়েনি তারা। দলের পলিটব্যুরোর পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে করে বলা হয়েছে, ‘এতদিন অযোধ্যার যেসব সাম্প্রদায়িক শক্তি বিতর্কিত জমির বিষয়টি ব্যবহার করেছে, যার জেরে মানুষের প্রাণ গিয়েছে, সংঘর্ষ হয়েছে, তা আজ সুপ্রিম কোর্ট সমাপ্ত করে দিল। তবে রায়ের কিছু অংশ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আদালত নিজেই আজ বলেছে ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা ছিল আইন ভঙ্গ। এটা ক্রিমিনাল অ্যাক্ট এবং ধর্মনিরপেক্ষতার উপর আঘাত। তাই বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি এবং দোষীদের উপযুক্ত সাজা দিতে হবে।’