উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
কেন অযোধ্যার ‘বিতর্কিত’ ওই জমির অধিকার হিন্দুদের দেওয়া হল? মুসলিমদের অধিকারের দাবি অগ্রাহ্য হল কেন? সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের পাঁচ সদস্য প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এস এস বোবদে, ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, এস আব্দুল নাজির এবং অশোক ভূষণ আজ ১০৪৫ পৃষ্ঠার রায় দিয়েছেন সার্বিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ওই জমির উপর অধিকারের প্রমাণ স্বরূপ কোনও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়েছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। হিন্দুদের প্রমাণ তুলনায় বেশি গ্রহণযোগ্য হয়েছে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ১৯৯২ সালে মসজিদ যেভাবে ধ্বংস হয়, সেই পরিকল্পিত ঘটনাটি বেআইনি ছিল। ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, ওই জমিতে ১৫২৮ খ্রিস্টাব্দে মসজিদ গড়ে উঠেছিল। তবে সেটি ফাঁকা জায়গা ছিল না। কোনও কাঠামোর ধ্বংসাবশেষের উপরই নির্মাণ করা হয়েছিল মসজিদটি। সেই কাঠামোয় কোনও ইসলামিক ছাঁচ পাওয়া যায়নি। তবে কাঠামোটি রামমন্দিরই ছিল কি না তার প্রমাণও পায়নি সর্বেক্ষণ সংস্থা। তবে সেটি ছিল অমুসলিম কাঠামো।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, বিশ্বাসের ভিত্তিতে কোনও আইনি ফয়সালা হতে পারে না। ২০১০ সালে অযোধ্যার জমির অধিকার সংক্রান্ত মূল মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল ২.৭৭ একর বিতর্কিত জমি বিবদমান তিন গোষ্ঠীর মধ্যে সমানভাবে বিভাজিত করে দেওয়া হোক। রামলালা, নির্মোহী আখড়া এবং সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। আজ নির্মোহী আখড়ার সেবাইত অধিকারের দাবিকেও নস্যাৎ করেছে শীর্ষ আদালত। সোজা কথায়, রামমন্দির ও বাবরি মসজিদ নিয়ে আইনি লড়াইয়ে বিপুল জয় হল বিজেপি, সঙ্ঘ পরিবার ও রামজন্মভূমি ন্যাসের। বলা বাহুল্য, রামমন্দির আন্দোলন দিয়েই শুরু হয় বিজেপির উত্থান। ১৯৮০ সালে তৈরি হওয়া বিজেপির প্রধান রাজনৈতিক অভিমুখই ছিল একটা প্রতিশ্রুতি, রামমন্দির হবে অযোধ্যায়। আজ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর মোদি সরকারের উপর দায়িত্ব এল মন্দির নির্মাণের। একদিকে যেমন এই রায় বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের কাছে বিজয়সূচক, তেমনই আবার শান্তিতে রামমন্দির হয়ে গেলে এই জ্বলন্ত ইস্যুটি চিরতরে সমাপ্ত হবে বিজেপির রাজনৈতিক ভরকেন্দ্র থেকে। তবে মন্দির নির্মাণের দায়িত্ব মোদি সরকারের হাতে চলে আসায় আগামী দিনে এর কৃতিত্বও মোদি তথা বিজেপি প্রত্যাশিতভাবেই করবে। সেক্ষেত্রে কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদের বিলোপ, তিন তালাককে বেআইনি ঘোষণার পর রামমন্দিরও হয়ে গেলে নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তি হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিতে এমন উচ্চতায় পৌঁছবে, যাকে ছোঁয়া কঠিন। যার সুফল মিলবে ভোটযন্ত্রে। এখন রইল বাকি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি!