উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
সামনেই কার্তিক পূর্ণিমা। অযোধ্যার ভিড়ে ভেসে যাওয়ার কথা? অথচ ছবিটা বিপরীত। অযোধ্যার শরীরে আজ ছিল ৩৭০ পরবর্তী শ্রীনগরের ছায়া। ডাইনে গেলে পুলিশ আটকাচ্ছে। বাঁদিকে গেলে পুলিশ ধমকাচ্ছে। রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বললে পুলিশ পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে। ডায়েরিতে নোট করলে ছুটে এসে পুলিশ এসে বলছে, কী লিখছেন! কেন লিখছেন! আপাতত অযোধ্যা শহরে বহিরাগত গাড়ির প্রবেশ নিষেধ। হনুমান গড়ি, কনক মন্দির আর রাম জন্মভূমি। এই তিন তীর্থ দর্শন করতেই ঘন্টা কাবার হওয়ার কথা। অথচ আজ অযোধ্যায় অদ্ভুত দৃশ্য। গোটা শহর বন্ধ। গোটা শহরবাসী ঘরবন্দি। রাস্তায় শুধুই আধা সামারিক বাহিনীর রুট মার্চ। অথচ যা বন্ধ রাখা হয়নি, তা হল, রামলালার দর্শন। কিন্তু দর্শন করবে কে? শূন্য দর্শনস্থল। যে কার্তিক পূর্ণিমার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ এসেছিল, তারা ভয়ে আশঙ্কায় শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
যে কয়েকটি দোকান খোলা সেগুলির সামনে ছিল জটলা। রায় স্পষ্ট হতেই দ্রুত আলো খেলে গেল প্রতিটি মুখে। বিকেলে একটু সাহস হল। তাই অযোধ্যা কিছুটা বেরিয়ে এল রাস্তায়। মহাদেব ঝা স্কুল শিক্ষক। বললেন, ধর্মটর্ম বাদ দিন। রামমন্দির হলে তা হবে দ্বিতীয় বৈষ্ণোদেবী। বিরাট ট্যুরিস্ট স্পট হবে। আর কারা আসছে জানেন তো? জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাতেই মহাদেভ ঝা, সুরেশ মাঝিরা বললেন, গোটা দেশ থেকে করসেবক আসবে আবার। এবার আর ধ্বংস নয়, নির্মাণের কাজে। রামমন্দির! এই উচ্ছ্বাস ও চাপা আনন্দের মাঝে নেমে এসেছে স্তব্ধতা। মসজিদের জন্য বিকল্প জমিতে আপনারা খুশি? পাথরের মতো মুখ করে দরজা বন্ধ করে দিলেন ফৈজাবাদ কোর্টের দলিল লেখক মহম্মদ নাসিম উদ্দিন। অযোধ্যায় হর্ষ আছে। বেদনাও আছে তবে উত্তেজনা নেই!