উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
আর এই ‘রেডার’ এবং ‘ ডিজিটাল ক্যামেরা’ বা ‘ইমেল’ নিয়ে সোশ্যাল সাইটে ট্রোলড হলেন মোদি। তথ্য বলছে, জাপানি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক নিকন তাদের প্রথম ডিজিটাল ক্যামেরা বাজারে আনে ১৯৮৭ সালে। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেওয়া হয় যে মোদি তখন ডিজিটাল ক্যামেরা পেয়েছিলেন, তবে ইমেল কোনওভাবেই সম্ভব নয়। কারণ, ভারতে ইমেল পরিষেবা শুরু হয় ১৯৯৫ সালে। বিএসএনএল সেই পরিষেবা শুরু করে। তার আগে ইমেল তো দূরের কথা ১৯৮৮ সালে দেশের মানুষের মধ্যে ইন্টারনেট সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণাই ছিল না।
মোদির এইসব মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আসরে নেমে পড়েছে কংগ্রেস। বিরোধী দলের দাবি, রাজনীতি করতে করতে এবার দেশের সেনাকে ‘ছোট’ করতেও ছাড়লেন না প্রধানমন্ত্রী। তিনি যুদ্ধনীতিকেও অসম্মান করলেন। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘গত ৭০ বছরে কোনও প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে নিয়ে এতটা মস্করা করেননি। কিন্তু সেনার পেশাদারি থেকে মোদিজির ইচ্ছা অনেক বড়। প্রধানমন্ত্রী সেনার নামে ভোট সংগ্রহে প্রচণ্ড ব্যস্ত। শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনীকে অপমান পর্যন্ত করলেন।’ যুদ্ধনীতিকে রাস্তায় নামিয়ে অমার্জনীয় অপরাধ করেছেন। কংগ্রেসের পাশাপাশি সরব হয়েছে সিপিএমও। নির্বাচন কমিশনের কাছে সিপিএম অভিযোগ করেছে, ভোটারদের প্রভাবিত করতে স্পর্শকাতর একটি মিশনের বিস্তারিত তথ্য ফাঁস করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভরেকর বলেছেন, ‘মোদিজি কোনওকিছুই ফাঁস করেননি। প্রধানমন্ত্রী বালাকোট অপারেশনের গোপন তথ্য প্রকাশ্যে বলবেন, এটা ভাবাই যায় না।’
বিজেপির এই উত্তরে অবশ্য ক্ষান্ত হচ্ছে না কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র পবন খেরা সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গর্ব সহকারে বলেছেন, তিনি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মানেননি। অবশ্য যদি নিজেকে ‘মিস্টার ৫৬’ প্রমাণ করতে হয়, যদি নিজেকে বেশি বুদ্ধিমান প্রমাণ করতে হয়, তাহলে বিশেষজ্ঞদের অবজ্ঞা করতেই হবে। প্রয়োজনে দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত গোপন তথ্য প্রকাশ্যে বলা যেতে পারে। বায়ুসেনা এতদিন পর্যন্ত সব গোপন রেখেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বালাকোট অপারেশনের সব তথ্য প্রকাশ্যে বলে দিলেন।’ খেরা আরও বলেন, ‘উনি আকাশে মেঘ এনে দেশের বায়ুসেনাকে রক্ষা করেছেন। আজ পর্যন্ত কোনও দেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এত ঠাট্টা কখনও হয়নি। অন্য দেশের কাছে আপনি নিজের কী ভাবমূর্তি তৈরি করছেন? দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব এমন একজনের হাতে, যিনি আবহাওয়া রেডার এবং অ্যাভিওনিক্স রেডারের পার্থক্য বোঝেন না। নাই জানতে পারেন। তাই বলে নিজের অজ্ঞতা এইভাবে প্রকাশ্যে না বলাই ভালো।
আর এক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘অসাধারণ নেতা। কী অসাধারণ তাঁর মাথা! আকাশে মেঘ থাকলেই যে কোনও দেশের রেডার থেকে আমরা বেঁচে যাব।’ শুধু বিরোধী দলই নয়, সোশ্যাল সাইটেও প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য নিয়ে হাসি মস্করার ঝড় উঠেছে।