পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুপুরের দিকে এক মহিলা দু’টি কালো প্যাকেটে মুড়ে কুকুরছানাগুলির দেহ সেখানে ফেলে রেখে চলে যায়। প্যাকেটগুলি মাটিতে রাখতে না রাখতেই কুকুরছানাগুলির দেহ বেরিয়ে বেরিয়ে পড়ে। দেখা যায় একটি-দু’টি নয়, সেখানে ১৬টি কুকুরছানা রয়েছে। পলিথিনের প্যাকেটে কুকুরছানাগুলির দেহের সঙ্গে খাবারও ছিল। এদিকে, দেহগুলি পাওয়ার খবর জানাজানি হতেই পশুপ্রেমীরা ভিড় করেন হাসপাতাল চত্বরে। তাঁরা ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি কে বা কারা এই ঘৃণ্য কাজ করল, তাদের খুঁজে বের করতে হাসপাতালের ওই অংশের সিসিটিভি ফুটেজ দেখারও দাবি ওঠে। পুলিস জানিয়েছে, সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। ঘটনার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে সন্ধ্যায় কলকাতা পুরভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, অত্যন্ত নিন্দাজনক ঘটনা। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এনআরএসের সুপার ডাঃ সৌরভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, শুনলাম, এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে। আশ্চর্য লাগছে। সোমবার ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে।
এনআরএস সূত্রের খবর, রবিবার বিকেল চারটে-সাড়ে চারটের ঘটনা। ছুটির দিন বলে ঘটনাস্থলের আশপাশে রোগীর আত্মীয়স্বজনের ভিড় তুলনায় কম ছিল। সেখান থেকে পলিথিনের প্যাকেটে কুকুরছানাগুলির দেহ মেলায় কৌতূহলী লোকজনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। চলে আসে পুলিস ও সংবাদমাধ্যমের লোকজন। হাসপাতালের চিকিৎসকমহলের একাংশের সন্দেহ, বাইরে খাবারে বিষ বা অন্য কোনওভাবে কুকুরগুলিকে মেরে ফেলে এখান এসে ফেলে দিয়ে চলে গিয়েছে কেউ বা কারা। কিন্তু, কেন এমন করা হল, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে।