হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরনোর পর থেকে ছোটখাট রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা লেগেই রয়েছে হরিসড়া গ্রামে। দিন কয়েক আগে গ্রামের একটি রাস্তা সারানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে তুমুল বচসা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের চেহারা নেয়। সংঘর্ষে গুরুতর জখম হয়েছেন হরিসড়া গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা সুপ্রিয়া হাজরার স্বামী নয়ন হাজরা। অভিযোগ, তাঁকে লোহার রড দিয়ে মারধরের পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতে কোপ মারা হয়। নয়নবাবু বলেন, গ্রামের একটি রাস্তা বর্ষায় খারাপ হয়ে পড়েছে। দিন কয়েক আগে ওই রাস্তায় পাথরের গুঁড়ো ফেলা হয়। প্রাথমিকভাবে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ হয়েছে সেই টাকারই পাথরের গুঁড়ো ফেলে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়। কিন্তু ওরা দাবি করে, বরাদ্দ অর্থের কম পরিমাণ পাথরের গুঁড়ো ফেলা হয়েছে। এনিয়ে ওইদিন বচসাও হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে গ্রামের ব্রাহ্মণপাড়ায় ভাইঝি প্রাইভেট টিউশন পড়তে গিয়েছিল। রাত ৯টা নাগাদ দাদা সুশান্ত হাজরা বাইক চালিয়ে তাকে আনতে যায়। ফেরার পথে দাদার পথ আটকে ওই পাড়ার জনাপাঁচেক বিজেপি সমর্থক হম্বিতম্বি করে উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করে। দাদার ফোন পেয়ে আমি সেখানে গেলে ওরা বলতে থাকে, মেম্বারের স্বামী বলে যা মনে তাই করবি নাকি। সরকারি অর্থ মেরে খাচ্ছিস। আর সেদিন নেই, চুটিয়ে কেটে মেরে দেব। এই নিয়ে কথা কাটাকাটি হতেই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সেই সময় ওরা বাড়ি থেকে ধারালো অস্ত্র ও রড নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে গ্রামে পুলিস পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে গ্রামেরই বিজেপি সমর্থক প্রাক্তন এক সেনাকর্মীকে পুলিস আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। দলের সাঁইথিয়া ব্লক সভাপতি ভবানী পাল বলেন, বাইক পাশ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়েছে। কোনও অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়নি। ওই তৃণমূল নেতা নিজেই নিজের হাত কেটে সেটাকে ধারালো অস্ত্রের কোপ বলে চালাতে চাইছে। তাঁর দাবি, মিথ্যা অভিযোগে সভ্রান্ত পরিবারের এক বিজেপি সমর্থক যিনি প্রাক্তন সেনাকর্মী ও এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিস অফিসারের ছেলেকে ধরে নিয়ে এসেছে পুলিস। সঠিক তদন্ত হলে অভিযোগ যে মিথ্যা তা প্রমাণিত হবে। পুলিস অবশ্য ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।