হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ আগরওয়াল বলেন, সতীঘাটে কজওয়ে ভেঙে যাওয়ার পর কেশিয়াকোল সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই অস্থায়ী রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু, জলের তোড়ে সেটি ভেসে গিয়েছে। পুজোর আগে নতুন করে এই রাস্তা মেরামত করা যায় কি না আমরা তা আলোচনা করে দেখছি।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেশিয়াকোল, কদমাডাঙা, মৌলাডাঙা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের পড়াশোনা, বাজারহাট থেকে শুরু করে হাসপাতালের পরিষেবার জন্য জেলা সদর শহর বাঁকুড়ায় আসতে হয়। এজন্য সতীঘাটের উপর গন্ধেশ্বরী নদীর উপর একটি কজওয়ে ছিল। কিন্তু, ২০১৬ ও ২০১৭ পরপর দু’বছর বর্ষার সময় জলের তোড়ে কজওয়েটি ভেঙে যায়। এরপরেই এলাকাবাসীর অসুবিধার কথা মাথায় রেখে ২০১৭ সালে বর্ষার পর প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে অস্থায়ী রাস্তা তৈরি করে। ওই রাস্তা দিয়ে সাইকেল, বাইক ও অটো টোটো যাতায়াতের জন্য অনুমতি দেয় প্রশাসন। পাশাপাশি সতীঘাটে গন্ধেশ্বরী নদীর উপর প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫৪ মিটার লম্বা ও ১৫.৫৫মিটার চওড়া স্থায়ী সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, নতুন সেতু তৈরির কাজ শুরুও হয়েছে। কিন্তু, নদীগর্ভের কিছুটা নীচেই পাথর থাকায় প্রায় তিনমাস সেতু নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
কেশিয়াকোলের বাসিন্দা অনন্ত রায় বলেন, অস্থায়ী রাস্তা দিয়ে চারচাকার গাড়ি যাওয়ার কথা নয়। কিন্তু, প্রশাসনের নজরদারির অভাবে দিনরাত চারচাকার যানবাহন যাতায়াত করছিল। তাতে অস্থায়ী রাস্তাটি খারাপ হলেও প্রশাসন তা মেরামতের কোনও উদ্যোগ নেয়নি। ফলে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নদীর জল একটু বাড়তেই অস্থায়ী রাস্তা জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। আমার ছেলে মেয়ে দু’জনেই বাঁকুড়া শহরের স্কুলে পড়াশোনা করে। ওরা নিজেরাই এই রাস্তা দিয়ে সাইকেল চালিয়ে এক কিলোমিটার দূরে স্কুলে চলে যেত। কিন্তু, এখন ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে স্কুলে যেতে হবে। তাই জাতীয় সড়কে ছেলে মেয়েদের ছাড়তে ভয় লাগছে।
কদমাডাঙার বাসিন্দা লক্ষীকান্ত দাস বলেন, আমাদের গ্রামের অনেকেই প্রতিদিন সকালে সব্জি মাথায় বা সাইকেলে নিয়ে হেঁটে বাঁকুড়ায় বিক্রি করতে যায়। কিন্তু, অস্থায়ী রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন ট্রলি বা টোটো ভাড়া করে সব্জি নিয়ে যেতে হবে।