কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, কর ফাঁকির রুখতে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের এধরনের অভিযানকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। যদিও পঞ্চায়েতে নজরদারির অভাবে পুকুর ভরাট, অবৈধ মাটি খনন হচ্ছে সেসব ক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এবিষয়ে সামসি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রবণ কুমার দাস বলেন, পঞ্চায়েত জুড়ে অবৈধভাবে গৃহ নির্মাণ হচ্ছে। অনেকেই পঞ্চায়েতের অনুমতি নিচ্ছে না। এতে রাজস্বের ঘাটতি হচ্ছে। সম্প্রতি পঞ্চায়েতে অবৈধ নির্মাণ নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে অবৈধ নির্মাণকারীদের হাতে এদিন আইনি নোটিস ধরিয়ে দিয়েছি। তাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় নথিপত্র দিয়ে পঞ্চায়েতে ছাড়পত্র নিতে বলা হয়েছে। না হলে আমরা পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। পাশাপাশি এধরনের অবৈধ নির্মাণ যাতে না হয় সে ব্যাপারে নজর রাখতে গ্রামবাসীদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। এদিন বিকেল পর্যন্ত ৬০ জনের বেশি গৃহের নির্মাণকারীকে আইনি নোটিস ধরানো হয়েছে। তারা গৃহনির্মাণের কর জমা দিলে পঞ্চায়েত তহবিল বাড়বে।
সামসি গ্রাম পঞ্চায়েতের সেক্রেটারি আনিসুর রহমান বলেন, গৃহ নির্মাণ কর থেকে পঞ্চায়েতের যে আয় হয় একটা বড় অর্থ উন্নয়ন কাজে খরচ হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে অনেকেই কর ফাঁকি দিয়ে গৃহনির্মাণ করছেন। এতে পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল বাড়ানো অসম্ভব হয়ে উঠছে। তাই বিভিন্ন মহলে আমরা অবৈধ নির্মাণের খবর পেয়ে এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। এদিন যাদের নোটিস ধরানো হয়েছে আশা করি তারা পঞ্চায়েতে এসে ছাড়পত্র নিয়ে যাবেন।
সামসি গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতের অধীনে ২০টি সংসদ রয়েছে। প্রত্যেক সংসদ এলাকায় দিনের পর দিন পঞ্চায়েত ভোট ছাড়াই গৃহ নির্মাণ হচ্ছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় অনেকেই পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে এনিয়ে একাধিক অভিযোগ জানান। সে অভিযোগের ভিত্তিতে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ বেআইনি নির্মাণকারীর বিরুদ্ধে অভিযানে নামে। এদিন পঞ্চায়েত প্রধান শ্রবণ কুমার দাস, উপপ্রধান আমিরুল হক সহ পঞ্চায়েত সদস্য এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীরা কর ফাঁকি রুখতে গ্রামে গ্রামে গিয়ে অবৈধ নির্মাণকারীদের হাতে আইনি নোটিস ধরিয়ে দেন। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, এসব ক্ষেত্রে সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিয়ে ছাড়পত্র নিতে বলা হয়েছে। এই অভিযান এদিন ভগবানপুর সংসদের শুরু হয়। আগামী এক মাস ধরে বিভিন্ন সংসদে এই অভিযান চলবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নথি জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট নির্মাণকারীর বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।