উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
পাঞ্জাবের ফতেগড় সাহিবে সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী হয়েছেন কংগ্রেসের অমর সিং। তাঁর সমর্থনে এদিন প্রচারসভায় যোগ দিয়ে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘১৯৮৪ সালের ঘটনা নিয়ে স্যাম পিত্রোদা যা বলেছেন, তা সম্পূর্ণ ভুল। তাঁর উচিত এর জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা। আমি এখন প্রকাশ্য সভামঞ্চে যে কথা বলছি, ফোনেও তাঁকে একই কথা বলেছি।’ সভায় উপস্থিত ছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংও। আগামী ১৯ মে পাঞ্জাবে ভোট। তার আগে কংগ্রেস নেতা স্যাম পিত্রোদার বিতর্কিত এই মন্তব্য নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু করেছে বিজেপি। গত শুক্রবার হরিয়ানার রোহতক এবং পাঞ্জাবের হোসিয়ারপুর জেলায় নির্বাচনী প্রচারে এসে এনিয়ে সরব হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের মন্তব্য থেকেই বিরোধী দলের চরিত্র এবং ঔদ্ধত্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। রাজনৈতিক মহলের মতে, পিত্রোদার এই মন্তব্য শিখ ভাবাবেগে আঘাত দিতে পারে। যার প্রভাব পড়তে পারে ইভিএমেও। সেই কারণেই স্যাম পিত্রোদার বক্তব্য খারিজ করে দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি, ব্যক্তিগতভাবে এবং প্রকাশ্যে তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
এদিনের সভায় জিএসটি ও নোটবন্দির জন্য মোদি সরকারের সমালোচনা করেন রাহুল। তিনি জানান, এই দুই সিদ্ধান্তের জন্য দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা যেমন কমেছে, তেমনই লক্ষাধিক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনী প্রচারে সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা এবং দু’কোটি যুবকের চাকরির সংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা পূরণ না করায় মোদিকে তুলোধোনা করেন কংগ্রেস সভাপতি। রাহুল বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি এখন আর সেই সমস্ত প্রতিশ্রুতি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেন না। কিন্তু সত্যিটা দেশের সকলে জেনে গিয়েছেন। মোদি আগে দুর্নীতি নিয়ে নানা কথা বলতেন। আমি তাঁকে রাফাল নিয়ে মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য বিতর্কে আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি ভয় পেয়ে গেলেন। আমি নরেন্দ্র মোদিকে চারটি প্রশ্ন করতে চাই এবং তাহলেই তিনি আর দেশবাসীকে নিজের মুখ দেখাতে পারবেন না।’